বেলারুশ সীমান্তে ইউক্রেনের দেয়াল

বেলারুশ সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করেছে ইউক্রেন। একের পর এক উঁচু খুঁটি বসিয়ে নির্মিত নতুন এ দেয়ালের ওপর বসানো হয়েছে কাঁটাতার। সীমানা দেয়ালের পাশে পরিখা ও বালুর বস্তা দিয়ে বাঙ্কার তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিহাইলো পোডোলিয়াক। খবর রয়টার্স।

বেলারুশ সীমান্তে দুই মিটারেরও বেশি উঁচু দেয়াল নির্মাণ করেছে ইউক্রেন

পোডোলিয়াক বলেন, বেলারুশ যেহেতু এখনও ইউক্রেনের জন্য হুমকি রয়ে গেছে, তাই এ দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এখানেই কথা শেষ নয়। আমরা সবকিছু প্রকাশ করছি না। আমরা ভলিন অঞ্চলে তিন কিলোমিটার দেয়াল নির্মাণ করেছি। ঝিয়ৎমির ও রিভনি অঞ্চলেও কাজ চলছে।

পোডোলিয়াক তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সীমানা দেয়ালের কিছু আপলোড করেছেন। ছবিতে ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তাদের দেয়ালের ওপর কাঁটাতারের রোল বসাতে দেখা যায়। দেয়ালের উচ্চতা ২ মিটারেরও বেশি মনে হচ্ছিল।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, বেলারুশের সঙ্গে আমাদের এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ওই সীমান্ত আমাদের জন্য এখনও হুমকির মতো। আমাদের সৈন্যরা সেখানে অবস্থান করছে। তবে তারা প্যাসিভ মোডে রয়েছে।

এদিকে বর্ডার কমিটি অব বেলারুশের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সৈন্যরা সীমানা দেয়ালের পাশে মাইন পুঁতেছে। ভিডিওতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সদস্যদের মাইন পুঁততে দেখা যাচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জার্মানি ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে জেলেনস্কির ফোনালাপে দুই নেতা ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির জন্য সৃষ্ট কৃষ্ণ সাগরীয় নৌ করিডরের মেয়াদ আরেক দফা সম্প্রসারণের প্রশ্নে একমত হন। আগামী ১৯ নভেম্বর এ করিডরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

জার্মানির মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চ্যান্সেলর শোলজ ইউক্রেনের জন্য জার্মানির সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জার্মানি ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে অগ্রাধিকার দেবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আলোচনায় বসাতে তুরস্কের পক্ষে জোর প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এ বিষয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে তিনি পুতিনের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলবেন।