আপনি পড়ছেন

দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো নোভা খাকভস্কায়া বিদ্যুৎকেন্দ্র। খেরসনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থাকাকালে রুশ বাহিনী নিয়মিত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আক্রমণের অভিযোগ করেছে। খাকভস্কায়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুরক্ষার জন্য তারা সর্বাধুনিক এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও মোতায়েন করেছিল। এবার রুশ সৈন্যরাই কেন্দ্রটির বাঁধ ভাঙতে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ukraine russia nova khakovkaম্যাক্সার স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া ছবিতে নোভা খাকভস্কায়া বাঁধে ভাঙন দেখা গেছে

জানা গেছে, খেরসন থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের পর নোভা খাকভস্কায়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধে কিছুটা ভাঙন দেখা গেছে। গতকাল বিকেলেও ওই বাঁধ লক্ষ্য করে রকেট হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রুশ বাহিনী ওই বাঁধ ভেঙ্গে খেরসন শহর তলিয়ে দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তা।

খেরসন শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালে রুশ বাহিনী বিভিন্ন সময়ে নোভা খাকভস্কায়া বাঁধে হাইমারস রকেট ছোঁড়ার ঘটনায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এসব অভিযোগ ইউক্রেনীয়রা বরাবর অস্বীকার করেছে। নোভা খাকভস্কায়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে খেরসনের উত্তরাংশের বহু এলাকা প্লাবিত হবার ঝুঁকি রয়েছে।

খেরসন শহর প্লাবিত ও যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হবার ঝুঁকি মাথায় রেখে রুশ কর্তৃপক্ষ গত কয়েক সপ্তাহে দনিপারের ডান পাশ থেকে ৭০ হাজার অধিবাসীকে নদীর অপর পাশে স্থানান্তর করেছে। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অব্যাহত আক্রমণের মুখে রুশ বাহিনী অবশেষে খেরসন থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক ব্লগাররা জানান, খেরসনের যে সব অবকাঠামো এতোদিন ইউক্রেনীয় বাহিনীর টার্গেট ছিল, এবার সেগুলো রুশ বিমান হামলা ও রকেট আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। খেরসন শহর ও উত্তরাঞ্চল থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহারের পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ অবকাঠামো ধ্বংস করতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী।

সৈন্য প্রত্যাহারের পর রুশ বাহিনী দনিপার নদীর ওপর নির্মিত আন্তনোভস্কি সেতু ও পন্টুন সেতু ধ্বংস করেছে। ইঙ্গুলেট নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ও দনিপার রেল সেতুটিও ধ্বংস করা হয়েছে। বিভিন্ন সামরিক সূত্র ও স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে বিষয়টির সত্যতা মিলেছে।

এর আগে গতকাল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মস্কো স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর পাঁচটায় খেরসন থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে মোতায়েন ২০ হাজার সৈন্য ও সাড়ে পাঁচ হাজার সামরিক সরঞ্জাম নিরাপদে দনিপার নদীর ডান পাশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিধ্বস্ত ও অকেজো হওয়া ট্যাঙ্ক, কামান ও সাঁজোয়া যানগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ইউক্রেন আক্রমণের পর এ পর্যন্ত দেশটির চার অঞ্চলের বিপুল পরিমাণ ভূখণ্ড নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিলেও একমাত্র আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে খেরসনকেই রুশ বাহিনী দখল করতে পেরেছিল। এছাড়া জাপরোঝঝিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক- তিনটি অঞ্চলের কেন্দ্রস্থল ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।

নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন একমাত্র আঞ্চলিক কেন্দ্র খেরসনের সুরক্ষায় রুশ বাহিনীকে কয়েক মাস ধরে ভীষণ তটস্থ থাকতে হয়েছে। দনিপার ও ইঙ্গুলেট- দুই নদীর মাধ্যমে বিভক্ত খেরসন অঞ্চল। দনিপারের ওপর নির্মিত আন্তনোভস্কি সড়ক সেতু, ইঙ্গুলেটের ওপর নির্মিত সড়ক সেতু ও দনিপার রেল সেতুর মাধ্যমে খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের এবং ইউক্রেনের অপরাপর অংশের যোগাযোগ বজায় ছিল।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.