'চোরের বিরুদ্ধে জাতির পাশে দাঁড়ান' প্রধান বিচারপতিকে ইমরান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান চোরদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে জাতির পাশে দাঁড়াতে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

ইমরান খান

গতকাল রোববার পিটিআইয়ের লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। বলেন, আমি জাতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি সাহেবকে সম্মানের সাথে অনুরোধ করছি, পাকিস্তানের বিচার বিভাগের জাতির সাথে দাঁড়ানোর এবং ক্ষমতাবানদের আইনের আওতায় আনার সময় এসেছে।

ইমরান খান বলেন, নিহত সাংবাদিক আরশাদ শরীফ এবং পিটিআই সিনেটর আজম স্বাতির সঙ্গে যা ঘটেছে, এরপর দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়েছে। বর্তমান সরকার যা অন্য দেশের পক্ষ থেকে দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারা দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশা সমাধানে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জাতি বিচার বিভাগ ও প্রধান বিচারপতির দিকে তাকিয়ে আছে।

ইমরান খানের লংমার্চ

তিনি বলেন, সাত মাস আগে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে শাহবাজ শরিফের সরকার দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং এর অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। যারা অর্থনীতি ও প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে তারা কীভাবে দেশের সমস্যার সমাধান করবে?

ইমরান আরও বলেন, আমি শুরু থেকেই আগাম নির্বাচনের দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু সে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধান বাধা পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ। তিনি নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি নির্বাচনকে ভয় পান। কারণ তিনি জানেন, তিনি পিটিআইয়ের কাছে হেরে যাবেন।

পিএমএল-এন নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলে পিটিআই প্রধান বলেন, কীভাবে এসব অসৎ লোক দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অথচ তা-ই হচ্ছে। লন্ডনে বসে একজন অপরাধী (নওয়াজ) দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এবং পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। গত কয়েক মাসের উপ-নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করেছে যে দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ‘চোরদের’ জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, তিনি আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন, কারণ কেবল অবাধ ও অবাধ নির্বাচনই দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথ প্রশস্ত করতে পারে।

লংমাচ নিয়ে তিনি বলেন, লংমার্চের উদ্দেশ্য হল চারদিকে কী ঘটছে সে সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। আপনি যতই মানুষকে ভয় দেখান না কেন, যতই মিডিয়ার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করুন না কেন, এখন কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া আছে এবং যুবসমাজ জেগে উঠেছে।

পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে তার অবস্থানের যে সমালোচনা করছে শাহবাজ শরিফের সরকার, তার জবাবে ইমরান বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে দেশকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য তারা আমার সমালোচনা করে। আসলে বিচ্ছিন্নতা নয়, আমি সবসময় স্বাধীন ও সার্বভৌম পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে চেয়েছিলাম।