ইরানে বিক্ষোভের বিচার শুরু, প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায়

ইরানে টানা প্রায় একমাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। দেশটির নৈতিকতা পুলিশের হাতে কুর্দি তরুণী মাহশা আমিনী নিহত হওয়ার পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা তেহরান থেকে পুরো ইরানে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছয়জনকে প্রথমবারের মতো সাজা দিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। এরমধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইরানে টানা প্রায় একমাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে

স্থানীয় মিজান নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে খবরে বলা হচ্ছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে সরকারি ভবনে আগুন লাগানো, জনশৃঙ্খলা ও শান্তি বিনষ্ট এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সাজার বিরুদ্ধে আসামিরা প্রাথমিক আদালতে আপিল করতে পারবেন।

ইরানের প্রধান বিচারপতি মোহসেনি ইজেই চলমান বিক্ষোভের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইরানের বিক্ষোভ শত্রুদের হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ। যারা এতে নিজেদের জড়িত করেছে, তারা শাস্তি পাবেন। দাঙ্গাকারীদের উসকানি দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেন তিনি।

ইরানে বিক্ষোভে দমন-পীড়নে ঠিক কতজন হতাহত হয়েছে তা প্রকাশ করেনি দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে অসলো-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আইএইচআর তাদের সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, এ ঘটনায় ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাধীন অন্যান্য অধিকার সংস্থাগুলোও মৃত্যুর সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।

এদিকে ইরানে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। দেশটিতে মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক জাভেদ রেহমান এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় বেশ কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তা ও সংস্থা রয়েছে।