ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

ইরানের রাষ্ট্র চালিত মিডিয়া কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৬ নভেম্বর, বুধবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ইরানি জনগণকে দমনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে এই মিডিয়া কাজ করছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বা রাজস্ব বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) এর ৬ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইআরআইবি আটককৃতদের জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি সম্প্রচার করেছে। তাদের সাক্ষাৎকার দিতে বাধ্য করেছে। এমনকি বিক্ষোভের কারণে যারা মারা গেছে, তাদের স্বজনদের মিডিয়ার সামনে হাজির করে কথা বলতে বাধ্য করেছে যে সরকার তাদের হত্যা করেনি। তারা দুর্ঘটনার কারণে মারা গেছে। 

এদিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন তাৎক্ষণিকভাবে এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।  

সন্ত্রাসবাদবিষয়ক ট্রেজারির আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার জন্য সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার লংঘনের জন্য ইরান সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাবে তার সরকার।   

উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরানিরা। দুই মাস ধরে চলা এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৩৪৪ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

সূত্র: রয়টার্স