বিদ্যুৎহীন ইউক্রেনের ‘১ কোটি মানুষ’

রাশিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইউক্রেনের এক কোটি নাগরিক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এ হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিয়মিত ভাষণে গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ কথা জানান। খবর বিবিসি।

বিদ্যুৎবিহীন কিয়েভ

ইউক্রেনের বেসামরিক ভবনে হামলা চালানোর দুই দিনের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে আবারো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। সর্বশেষ এ হামলায় রুশ বাহিনী মূলত গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহকারী স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানে।

ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা সিস্টেম ছয়টি ক্রুজ মিসাইল এবং পাঁচটি ইরানের তৈরি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে দাবি করে জেলেনস্কি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত একটি এলাকা

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জাপোরিঝিয়ার কাছে ভিলনিয়ানস্কের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে সাতজন মারা যান। এছাড়া পূর্বাঞ্চলে একটি গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র এবং ডিনিপ্রোর একটি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা লক্ষ্য করেও হামলা চালায় রাশিয়া।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল ইউক্রেনের বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম ডিনিপ্রো। সেখানকার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। সেখানে গোলাবর্ষণের পর এক কিশোরসহ ২৩ জন আহত হয়েছেন। জাপোরিঝিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে, নিকোপোল শহরের চারপাশেও ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সেখানকার হাজার হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি সংস্থা নাফটোগাজের পূর্বাঞ্চলীয় গ্যাস-উৎপাদন কেন্দ্রগুলোও ব্যাপক হামলার শিকার হয়েছে। দক্ষিণ ওডেসা অঞ্চলে এবং উত্তরে খারকিভ থেকেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে রাজধানী কিয়েভ, পশ্চিমাঞ্চলীয় ভিনিসিয়া শহর, দক্ষিণ-পশ্চিমে ওডেসা বন্দর শহর এবং উত্তর-পূর্বে সুমি এলাকাতেই বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। জেলেনস্কি তার জনগণের এসব বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ধ্বংস করার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি ইউক্রেনের আকাশ সুরক্ষা নিশ্চিতে সাহায্য করতে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি আবারো আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তার দাবি, এটি রাশিয়াকে যুদ্ধ শেষ করতে উৎসাহিত করে তুলবে।