শস্যচুক্তির মেয়াদ বাড়ল চার মাস

তুরস্কের মধ্যস্থতায় করা ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির চুক্তির মেয়াদ চার মাস বেড়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এতে চুক্তিটি কত গুরুত্বপূর্ণ তা এখন স্পষ্ট। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের নেতাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

শস্যচুক্তির মেয়াদ বাড়ল চার মাস

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা করেছিলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে মূল ভূমিকা রাখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এবং এরদোয়ান। ইউক্রেনের অবকাঠামো মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মেয়াদ বাড়ানো সিদ্ধান্তটি ইস্তাম্বুলে নেওয়া হয়েছে। এর গ্যারান্টার হিসেবে এবারও রয়েছেন গুতেরেস ও এরদোয়ান।

গত ২২ জুলাই চুক্তিটি সম্পাদন হলে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি শুরু হয়। এতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট কমে যায়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরই মূলত ইউক্রেন থেকে খাদ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য ইউক্রেনের বন্দরে আটকে ছিল।

তুরস্ক, রাশিয়া, ইউক্রেন ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা শনিবার চুক্তি সম্প্রসারণ নিয়ে ইস্তাম্বুলে বৈঠকে বসেন। এ সময় এরদোয়ান বলেন, আঙ্কারা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে খাদ্য ও সার পাঠাতে বদ্ধপরিকর। গুতেরেসও এই চুক্তির সম্প্রসারণকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এক বিৃবতিতে গুতেরেস বলেন, ইউক্রেন থেকে শস্য ও খাদ্যসামগ্রী এবং সার রপ্তানির নিরাপদ কার্যক্রম সবপক্ষকে শান্তি দেবে। এই বিবৃতিতে ইস্তাম্বুলের জয়েন্ট কো-অপারেশন সেন্টার (জেসিসি) শেয়ার করেছে। জাসিংঘ প্রধান বলেন, রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানির বাধাগুলোও আমরা দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইউক্রেনকে বিশ্বের শস্যভাণ্ডার বলা হয়। এখানে সবচেয়ে বেশি শস্য উৎপাদন হয়। আঙ্কারার মধ্যস্থতায় চুক্তির আগে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশটির ২০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলোতে আটকে ছিল। এতে বিশ্বব্যাপী শুরু হয় খাদ্য সংকট। বিষয়টি উপলব্ধি করে এরদোয়ান ঐতিহাসিক চুক্তিটি সম্পাদনে সফল হন।