২০১৮: তারুণ্যে ভর করে ফরাসি সৌরভ

আজ থেকে কাতারে বসবে ফুটবল মহাযজ্ঞের ২২তম আসর। তার আগের প্রতিযোগিতাগুলো কেমন ছিল, কারাই বা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল- ফুটবল উৎসবের বানে ভেসে যাওয়ার আগে একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সেখানে-

এমবাপ্পে-পগবাদের হাতে সোনালি ট্রফি

কত বিতর্ক, কত বাধা আর সমালোচনা পেরিয়ে ২০১৮ সালে সফলভাবেই বিশ্বকাপ আয়োজন করে রাশিয়া। ২০১০ সালের ২ জুন পর্তুগাল-স্পেন, নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম ও ইংল্যান্ডকে ভোটে হারিয়ে ২১তম আসর আয়োজনের দায়িত্ব পায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশটি। এরপর কম জল ঘোলা হয়নি। ফিফার বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অন্যায় সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আনে ইংল্যান্ড।

১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে স্বাগতিক দেশ হিসেবে সরাসরি খেলে রাশিয়া। বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসে ৩১ দল, এরমধ্যে ১৩টি ইউরোপের দেশ। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে আসে পাঁচটি করে দল। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে ছিল তিনটি দেশ। বিশ্বকাপ অভিষেক হয় আইসল্যান্ড ও পানামার। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তার আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি!

বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম জমজমাট ফাইনালে দেখা মিলে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে। দুই দলের আপাতদৃষ্টে ছিল না কোনো দুর্বলতা। কিন্তু সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ড্যানিয়েল সুবাসিচের চোট ক্রোয়েশিয়ার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পেইনকিলার নিয়ে খেলতে নামলেও ডান পাশে ঠিকমতো ঝাঁপ দিতে পারছিলেন না তিনি। ফ্রান্স সে সুযোগটাই নিয়েছে পুরো ম্যাচে।

তবে ফ্রান্সকে ফাইনালে এগিয়ে নিয়েছিলেন কিন্তু ক্রোয়েশিয়ারই একজন, স্ট্রাইকার মারিও মানজুকিচ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে আত্মঘাতী গোল দেখে বিশ্ব। যদিও তার ১০ মিনিটের মাথাতেই পেরিসিচের গোলে সমতায় ফিরেছিল ক্রোয়েশিয়া। ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন গ্রিজমান। ৫৯ মিনিটে পগবা আর ৬৫ মিনিটে এমবাপ্পে ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ-স্বপ্নে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।

যদিও ৬৯ মিনিটে নিজের গোলের প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন মানজুকিচ, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে (অধিনায়ক এবং কোচ) বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন দিদিয়ের দেশম।

একনজরে

স্বাগতিক: রাশিয়া
চ্যাম্পিয়ন: ফ্রান্স
রানার্স আপ: ক্রোয়েশিয়া
মোট ম্যাচ: ৬৪
মোট গোল: ১৬৯

গোল গড়:২.৬৪
সর্বোচ্চ গোলদাতা: হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড) ৬ গোল
সেরা খেলোয়াড়: লুকা মদ্রিচ (ক্রোয়েশিয়া)।