বয়স ১৬ হলেই ভোট দেওয়া যাবে!

নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের ভোটদানের বয়সের নিম্নসীমা কমিয়ে আনা হতে পারে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন আজ সোমবার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কয়েকদিনের মধ্যেই ভোট নেওয়া হতে পারে। খবর রয়টার্স ও হিন্দুস্তান টাইমস।

জাসিন্ডা আর্ডার্ন

এর আগে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট এ রায়ে বলেন, ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের ভোট দেওয়ার অনুমতি না দেওয়া এক ধরনের বয়স বৈষম্য। এ রায় দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বয়স সংক্রান্ত এ ঘোষণা আসে। তবে এ ধরনের আইন পরিবর্তনের জন্য পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ এমপির সমর্থন দরকার, যা জাসিন্ডা সরকারের নেই।

উদারপন্থী লেবার পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ভোটের দেওয়ার বয়স হ্রাসকে সমর্থন করি। তবে এই পরিবর্তন কেবল আমি বা আমার সরকারের বিষয় নয়। এ ধরনের নির্বাচনী আইনের যেকোনো পরিবর্তনের জন্য ৭৫ শতাংশ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে আগামী মাসের মধ্যে একটি ভোট নেওয়া হবে। তবে এর পক্ষে রায় এলেও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে এ পরিবর্তন কার্যকর হবে না।

এ ব্যাপারে উদারপন্থী গ্রিন পার্টি জানিয়েছে, তারা এ পরিবর্তনকে সমর্থন করবে। দলটির মুখপাত্র গোলরিজ ঘরামান বলেন, তরুণরা বর্তমান ও ভবিষ্যতে উভয় ক্ষেত্রেই তাদের প্রভাবিত করে এমন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলার অধিকার রাখে।

তবে নিউজিল্যান্ডের দুটি প্রধান রক্ষণশীল বিরোধী দল বলছে, তারা এ ধরনের পরিবর্তনের বিরোধিতা করবে। বিরোধীদলীয় নেতা ক্রিস্টোফার লুক্সন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টিকে আমরা সমর্থন করছি না। আপনাকে কোথাও ভোটারের বয়সসীমা রেখাটি আঁকতে হবে। আমরা সেটি ১৮-তে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।

নিউজিল্যান্ডের মেক ইট ১৬ ক্যাম্পেইনের সহ-পরিচালক সনত সিং বলেছেন, তিনি আদালতের সিদ্ধান্তে পুরোপুরি রোমাঞ্চিত। এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অস্তিত্বের সমস্যা, মহামারি পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্রের বর্তমান সমস্যাগুলো তরুণদেরই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে। এসব কারণে আমি মনে করি, দেশের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যত পেতে বয়সের সংশোধনটি সত্যিই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়া, মাল্টা, ব্রাজিল, কিউবা, ইকুয়েডরসহ কয়েকটি দেশে ১৬ বছর বয়স হলেই নাগরিকরা ভোট দিতে পারে।