স্কটল্যান্ডের গণভোট প্রত্যাখ্যান যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের

স্কটিশ সরকার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া আগামী বছর স্বাধীনতার বিষয়ে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন করতে পারবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বুধবার এই রায়টি দিয়েছে।

স্কটল্যান্ডের গণভোট প্রত্যাখ্যান যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের

এই রায়ের ফলে স্কটিশ জাতীয়তাবাদীরা ২০২৩ সালে যে গণভোট আয়োজনের আশা করেছিল তা ভেস্তে যেতে বসেছে। স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন এই বছরের শুরুতে ঘোষণা করেছিলেন, ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর তিনি স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা বিষয়ে একটি গণভোটের আয়োজন করতে চান। স্টার্জন স্বাধীনতাপন্থী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা।   

ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত যুক্তরাজ্য হলো উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের একটি দ্বীপরাষ্ট্র।। অবশ্য ১৯৯৯ সাল থেকে স্কটল্যান্ডের নিজস্ব সংসদ এবং সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়েও নিজস্ব নীতি রয়েছে দেশটির। তবে প্রতিরক্ষা এবং আর্থিক নীতির মতো বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাজ্য সরকার।    

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার ওপর গণভোটের জন্য আইন প্রণয়নের ক্ষমতা স্কটিশ সংসদের নেই। সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট রবার্ট রিড জানিয়েছেন, পাঁচজন বিচারপতি এই বিষয়ে একমত হয়েছেন। স্বাধীনতার পক্ষে স্কটিশ প্রশাসনের আইনজীবী এবং বিপক্ষে যুক্তরাজ্য সরকারের আইনজীবির যুক্তি শুনেছে আদালত। ৬ সপ্তাহ পরে এই রায় দেওয়া হয়।   

এদিকে স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন বলেছেন, তিনি এই রায়ে হতাশ। কিন্তু এই রায়কে সম্মান করবেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে স্কটল্যান্ডের গণভোট আয়োজন করা হয়েছিল। সে সময় স্কটিশ ভোটাররা স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু ফের স্বাধীনতার জন্য গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করে স্বাধীনতাপন্থী এসএনপি। 

সূত্র: রয়টার্স