ইসরাইলে ভয়াবহ আগুন, ঘরছাড়া ৮০ হাজার মানুষ

ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফার আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। গত দুইমাসের খরা পর সৃষ্ট দাবানল পুড়িয়ে ফেলছে পুরো শহর। প্রচণ্ড ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে ইতোমধ্যেই ১৩০ জনের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অন্তত ৮০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে অন্যত্র।

শুস্ক ও গরম আবহাওয়ার কারণে এই আগুন ছড়িয়ে পরছে খুব দ্রুত। এই অগ্নিশিখা ৩০ ফুট উঁচু পর্যন্ত ওঠানামা করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির উত্তরাঞ্চলের বিনইয়ামিন ও হাদেরা শহরের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। হাইফা শহরের পাশে দুটি কারাগারের বন্ধীদের সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের দেয়া তথ্য অনুসারে, প্রাথমিকভাবে এটিকে খরার কারণে সৃষ্ট দাবানল মনে হলেও এটিকে সন্ত্রাসবাদের এক নতুন ধরণ বলে সন্দেহ করছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

তিনি বলছেন, 'আগুন লাগার কারণ সন্ত্রাসবাদ হতে পারে। আমরা বিষয়টিকে এভাবেই দেখছি এবং তদন্ত করছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।'

দেশটির শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সাথে একমত পোষণ করে টুইটারে লিখেছেন, 'যারা এই দেশের অস্তিত্ব স্বীকার করেনা, তারাই এই আগুন লাগিয়েছে।'

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন এই মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ হয়ে জানায়, 'ইসরায়েলই কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনের উপর মিথ্যা দায় চাপাতে এই দুর্ঘটনাকে ব্যবহার করছে। যা কিছু পুড়ছে তা হল ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনি বৃক্ষ ও ভূমি।'

দেশটির গণনিরাপত্তা মন্ত্রী জিলাদ এডরান স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, 'এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার সন্দেহে আট ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় দাহ্য ও তরলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আমার মনে হয়, নতুন এক ধরণের সন্ত্রাস মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।'

এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রাশিয়া, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া এবং গ্রিস ইসরায়েলে আকাশযানসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

বাংলাদেশ-মিয়ানমার দুই দেশের আচরণকে ‘নিষ্ঠুর’ বলছে এ্যামনেস্টি!

জাতিসংঘ: মিয়ানমারে জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা নিধন চলছে

ট্রাম্পের চাইতে ২০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন হিলারি

রোহিঙ্গা সমস্যায় 'মুসলিম জাতিসংঘ' গঠনের হুঁশিয়ারি

ভোট পুনর্গণনার দাবি, বদলে যেতে পারে নির্বাচনের ফলাফল!