রামোসের হ্যাটট্রিক: সুইসদের উড়িয়ে শেষ আটে পর্তুগাল

এমন একটা গুঞ্জন ম্যাচ ‍শুরুর আগেই ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবল আকাশে। পর্তুগালের প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে যাচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। শেষ পর্যন্ত হলোও তাই। মঙ্গলবার রাতে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে জায়গা হলো না ‘সিআর সেভেনে’র।

হ্যাটট্রিকের পর গনসালো রামোসকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস

তাতে বয়েই গেছে পর্তুগালের। রোনালদোকে ছাড়াই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ফার্নান্দান্দো সান্টোসের গোল। তাতে বিধ্বস্ত সুজারল্যান্ড। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর শেষ ম্যাচে সুইসদের ৬-১ গোলে উড়িয়ে পর্তুগাল টিকিট কাটল কোয়ার্টার ফাইনালের। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ এবারের কাতার বিশ্বকাপের চমক মরক্কো।

রোনালদোকে পর্তুগিজ কোচ মাঠে নামিয়েছেন ম্যাচের প্রায় শেষ দিকে। ওই সময় একবার জালের নাগাল পেয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু রোনালদো গোলে শট নেওয়ার আগেই অফসাইডের বাঁশি বাজান। আসলে ‘সিআর সেভেন’ মাঠে নেমেছেন স্রেফ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারার জন্য!

রোনালদোকে ছাড়াই যে দুর্দান্ত খেলেছে পর্তুগাল। তিনি মাঠে নামার আগেই স্বপ্নের হ্যাটট্রিক হয়ে গেছে গঙ্কালো রামোসের। নক আউট পর্ব তো বটেই, এবারের বিশ্বকাপেই এক ম্যাচে কোনো খেলোয়াড় করলেন তিন গোল। ১৭ মিনিটে গোল উৎসবের শুরুটা হয়েছিল এই রামোসের সৌজন্যেই।

৩৩ মিনিটে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার পেপের দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করে পর্তুগাল। ম্যাচটা কার্যত শেষ হয়ে গেছে ওখানেই। কিন্তু গোলক্ষুধা কমেনি ইউরোর প্রাক্তন চ্যাম্পিয়নদের। দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক তুলে নেন রামোস। এর ফাঁকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন রাফায়েল গুরেরো।

ওহ, ৫৮ মিনিটে ম্যানুয়েল আকানজি পর্তুগালকে একটি গোলের শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন বটে, কিন্তু ৬৭ মিনিটের মধ্যে পাঁচ গোল করে সেই সম্ভাবনাটাও শেষ করে দেয় পর্তুগিজরা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সুইসদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন রাফায়েল লিয়াও। এই প্রথম বিশ্বকাপে নক আউট পর্বে ছয় গোল করল পর্তুগাল।

এনিয়ে টানা দ্বিতীয়বার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিলো সুইজারল্যান্ড। সবশেষ পাঁচবার বিশ্বকাপে খেলতে এসে চারবারই নক আউট পর্বের শুরুতে থেমে গেল তাদের পথচলা। বিপরীতে এনিয়ে তৃতীয়বার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল। এর আগে ২০০৬ ও ১৯৬৬ বিশ্বকাপে শেষ আটে উঠেছিল তারা। দুবারই সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল পর্তুগিজরা।