রেফারিকে নিয়ে আতঙ্কে ছিল আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস মহারণ উপহার দিয়েছে থ্রিলার। রোমাঞ্চকর ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও সহজে জিততে পারেননি লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং। শেষ দিকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তনের পর ২-২ গোলে সমতা ফেরায় ডাচ শিবির। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ফলটা পাল্টায়নি।

লিওনেল মেসি ও অ্যান্তনিও মাতেও

উত্তপ্ত কোয়ার্টার ফাইনাল গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচের ফল ছাপিয়ে পাদ প্রদীপে উঠে এসেছেন রেফারি অ্যান্তনিও মাতেও লাহোজ। এদিন ম্যাচে ১৮টি কার্ড খরচ করেছেন স্প্যানিশ রেফারি।

যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ কার্ড খরচের রেকর্ড। মাঠের ভেতরে ১৪ জন এবং বাইরে আরও চারজনকে হলুদ কার্ড দেখান মাতেও। যার বেশির ভাগই দেখেছেন আর্জেন্টাইনরা। দলটির প্রধান কোচ লিওলেন স্কালোনি এবং একজন কোচিং স্টাফকেও কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নেদারল্যান্ডসের ডেনজেল ডামফ্রিজকে লাল কার্ডও দেখান তিনি।

মাঠের খেলায় আর্জেন্টিনার আটজনকে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন মাতেও। ম্যাচে পান থেকে চুন খসলেই হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন তিনি। স্প্যানিশ রেফারির এমন রূদ্রমূর্তিতে অবাক হয়েছেন অনেকেই। তাকে নিয়ে ম্যাচের আগেই ভয়ে ছিল ল্যাটিন আমেরিকান জায়ান্ট আর্জেন্টিনা।

কারণ এই রেফারিকে অনেক আগে থেকেই চিনতেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি। বার্সেলোনায় থাকাকালীন স্প্যানিশ ফুটবলের ম্যাচে মাতেওকে খুব কাছ থেকেই দেখেছেন তিনি। সেই পর্যবেক্ষণ থেকেই ডাচ ম্যাচের আগের আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাতবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

এ নিয়ে ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ‘আমি রেফারি নিয়ে কথা বলতে চাই না। কারণ এরপর তারা আপনাকে নিষিদ্ধ করতে পারে। কিন্তু সত্যি বলতে ম্যাচের আগে আমরা ভয় পেয়েছিলাম। কারণ আমরা জানতাম কী (মাতেও লাহোজ) আসছে।’

এই রেফারির ওপর যে মেসি খুশি ছিলেন না সেটা মাঠেও দেখা গেছে। ম্যাচ চলাকালীন রেফারির খুব কাছে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টিনা দলপতি। রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন মেসিকেও। এ নিয়ে মেসির ভাষ্য, ‘আমি যা ভাবছি তা বলতে পারছি না। কিন্তু ফিফাকে এটা দেখতে হবে।’

এরপরই রেফারি মাতেওর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মেসি। তিনি বলেছেন, ‘(ফিফা) এ ধরনের ম্যাচের জন্য এমন একজন রেফারিকে নিযুক্ত করতে পারে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত সে উচ্চ পর্যায়ে না যায়।’ কেবল রেফারিই নয়, ম্যাচ শেষে ডাচ কোচ লুইস ফন গাল ও তার শিষ্যদের সমালোচনা করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

মেসিদের জন্য স্বস্তির খবর, মাতেওকে আর বিশ্বকাপে পাচ্ছেন না তারা!