বিয়ের পর সাকিবের একটা জিনিসই পাল্টায়নি

মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ বিয়ে। সামাজিক এই বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর সিংহভাগ মানুষের জীবনই বদলে যায়। নতুন এই পৃথিবীর সঙ্গে আগেরটির তুলনাও করা হয়ে থাকে অনেক সময়। বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জীবনে এটি খুবই আলোচক বিষয়।

সেঞ্চুরি উদযাপনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী লিটন দাস

বাংলাদেশ ক্রিকেটের মতো জায়গায় বিয়ে এটা তো মুখরোচক প্রসঙ্গ! অনেক খেলোয়াাড়ের বিয়ের আগে ও পরে পারফরম্যান্সে একটা প্রভাব পড়েছে। প্রসঙ্গক্রমে এবার আসছে সাকিবের বিষয়টি। নতুন জীবনে সাকিবের আজ এক দশক পূরণ হলো। বিয়ের পর সাকিবের পারফর‌ম্যান্সের ধার আরও বেড়েছে। যা তাকে আরও পরিণত করেছে।

১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ সাকিবের জন্ম। ২০০৬ সালের আগস্টে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। আড়াই মাস পর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অধ্যায় শুরু। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। তিনি বিয়ে করেন ১২/১২/১২ অর্থাৎ ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর। 

এই হিসেবে সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার দুই অংশে বিভক্ত। বিয়ের আগে তিনি বাংলাদেশের ম্যাচ খেলেছেন ১৭৮টি। বিয়ের পর ২১৮টি। বিয়ের আগে ও পরে তার ক্যারিয়ারের প্রায় সবকিছুই পাল্টেছে। কিন্তু সেঞ্চুরির সংখ্যাটা আর পাল্টায়নি। দুই ধাপের ক্যারিয়ারেই সমান সাতটি করে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তিন সংস্করণ মিলিয়ে বিয়ের আগে ও পরে সাকিবের পারফরম্যান্স:

বিয়ের আগে সাকিব

ম্যাচ: ১৭৮
রান: ৫৮৯৩
ব্যাটিং গড়: ৩৩.২৯

ফিফটি: ৩৮টি
সেঞ্চুরি: ৭টি
উইকেট: ২৮৯
বোলিং গড়: ২৯.৫৯
৫ উইকেট: ৯ বার

বিয়ের পর সাকিব

ম্যাচ: ২১৮
রান: ৭৪৩৬
ব্যাটিং গড়: ৩৫.২৪

ফিফটি: ৫৩টি
সেঞ্চুরি: ৭টি
উইকেট: ৩৫৮
বোলিং গড়: ২৭.২৫
৫ উইকেট: ১৫ বার