আর্জেন্টিনার সামনে ইতিহাস রক্ষার চ্যালেঞ্জ

বাজেভাবে শুরু হলেও চলমান কাতার বিশ্বকাপে ভক্ত সমর্থকদের হতাশ করেনি আর্জেন্টিনা। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জায়গা করে নিয়েছে শেষ চারে। এখন লা আলবিসেলস্তেদের সামনে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে নেওয়ার লড়াই। সে মিশনে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে লিওনেল মেসি অ্যান্ড কোং।

মেসিদের উদযাপনের একটি দৃশ্য

লুকা মডরিচদের দল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাওয়ার মতো একটা পরিসংখ্যান আছে আর্জেন্টিনার জন্য। বিশ্ব সেরা হওয়ার মঞ্চে এর আগে চারটি সেমিফাইনালে অংশ নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার শীর্ষ দলটি। কিন্তু কখনই পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পায়নি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রতিবারই জয়ের হাসি নিয়ে পা রেখেছে স্বপ্নের ফাইনালে।

১৯৩০ সালে উরুগুয়ের মাটিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়। সেবার সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। তবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে গিয়ে স্বাগতিক উরুগুয়ের বাধা অতিক্রম করতে পারেনি আর্জেন্টিনা।

১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মুকুট পরে আর্জেন্টিনা। সেবার টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা। সেবারের আসরে শেষ চারের ম্যাচে বেলজিয়ামসকে পরাজিত করে ফাইনালে পা রাখে আর্জেন্টিনা।

১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আয়োজকদের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময় শেষে দুই দলের স্কোরলাইন ছিল ১-১।

সবশেষ ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে আর্জেন্টিনা। সেবার শেষ চারের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে পরাজিত করে মেসির দল। এর আগে নির্ধারিত সময়ে কোনো দল জালের দেখা পায়নি।

১৯৭৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। সেবার ঘরের মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপে ভিন্ন ফরম্যাটের কারণে সেমিফাইনাল খেলতে হয়নি আলবিসেলেস্তেদের। গ্রুপ পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব শেষে সরাসরি দুই দল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে নেয়। এবারও নিশ্চয় ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে অতীত ইতিহাস ধরে রাখতে চাইবে মেসি বাহিনী।