ইংলিশ চ্যানেলে ঠাণ্ডায় জমে প্রাণ গেল ৪ জনের, উদ্ধার ৪৩

ইংলিশ চ্যানেল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। এই চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক অভিবাসী প্রাণ দিয়েছে। সর্বশষে বুধবার ভোরে চারজন অভিবাসী ঠাণ্ডায় জমে মারা গেছে। তারা মূলত একটি ছোট ডিঙ্গি নৌকায় যুক্তরাজ্যে অবৈধ প্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় ৪৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ইউপিআই নিউজ।

ইংলিশ চ্যানেলে ঠাণ্ডায় জমে প্রাণ গেল ৪ জনের, উদ্ধার ৪৩

খবরে বলা হয়, বুধবার ভোরের আগে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মধ্যে একটি ডিঙ্গি নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। নৌকাটি ফ্রান্স ছেড়ে ব্রিটেনের দিকে রওনা হয়। এর আগে কেন্টের উপকূলে উভয় দেশের কোস্টগার্ড ইউনিট নৌকাটি শনাক্ত করে এবং সাংকেতিক নির্দেশনা পাঠায়।

ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, এইচএম কোস্টগার্ডের নেতৃত্বে একটি সমন্বিত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, চারটি নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং নতুন তথ্য পাওয়া গেলে তা যথাসময়ে জানানো হবে।

স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রাভারম্যান বলেন, তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ক্রমেই বিষয়টি পরিষ্কার হচ্ছে। তিনি টুইটারে লেখেন, আমি আজ সকালে চ্যানেলে একটি মর্মান্তিক ঘটনার বিষয়ে জানলাম। জরুরি তথ্য জানাতে আমাকে প্রতিনিয়ত আপডেট থাকতে হচ্ছে। সবার মতোই আমিও উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।

বুধবার উদ্ধার অভিযান চলার সময় শরণার্থী কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ক্লেয়ার মোসেলি বলেন, দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু ইংলিশ চ্যানেলে এই ধরনের ক্রসিংয়ে নিরুৎসাহিত করার জন্য কার্যক্রম নেই বললেই চলে। আমাদের জন্য শোক প্রকাশ করার কোনো শব্দ নেই। ২০২২ সাল জুড়ে প্রাণ হারালো ৩২ জন। সরকার মৃত্যু রোধ করতে পারেনি।

২০২২ সালে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, অভিবাসীদের মৃত্যু ঠেকাতে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ৪০০ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি পরিকল্পনা উন্মোচন করতে চলেছেন তিনি। গত বছর এই চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয় বলে জানান সমুদ্র বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ শ্যাঙ্ক।