পেরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, বিক্ষোভে নিহত ৭

ব্যাপক জনবিক্ষোভের মুখে পেরুর নতুন সরকার ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। আগের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্টিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সহিংস বিক্ষোভে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই কাস্টিলোর সমর্থক। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

পেরুতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

সরকার জরুরি অবস্থার মধ্যে চলাফেলা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। সরকার জানিয়েছে, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাথেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে।

নতুন প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কাস্টিলোপন্থীরা দেশটিতে নির্বাচন দাবি করেছেন। তবে নতুন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা ভাবতে পারবেন। কাস্টিলোকে কারাগারে রাখার ব্যাপারে শুনানির মধ্যেই দেশব্যাপী বিক্ষোভ দানা বাঁধে।

সহিংস বিক্ষোভকারীদের উদ্দশ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট বলেন, পেরুতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলতে পারে না, আমরা তা চলতে দেবো না। পরে কাস্টিলো শুনানিতে অংশ নিতে অস্বীকার করলে আদালত শুনানি স্থগিত করেন। কারণ দেশব্যাপী তখন সহিংস বিক্ষোভ চলছিল।

নতুন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে মূলত পেরুতে বিক্ষোভ চলছে। রাজধানী লিমাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বহু এলাকায় চলাচলের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা নাকাল হয়ে পড়ে। কাস্টিলোর সমর্থকরা দ্রুত নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দাবি করেছে।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট কাস্টিলো অপসারণ হওয়ায় পেরুর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হন দিনা বলুয়ার্তে। কাস্টিলোকে বিদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এমপিরা তাকে অভিশংসন করে। অভিশংসন ভোটটি ১৩০-১০১ ভোটের ব্যবধানে পাস হয়।

এর পর কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ায় দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু করে কাস্টিলোর অনুসারীরা। অভিশংসন প্রক্রিয়াকে কাস্টিলো অভ্যুত্থান হিসেবে বর্ণনা করেছেন। নতুন সংবিধান প্রণনয়নের জন্য তিনি আগাম সংসদ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন।