অবশেষে থামল ভারত, শুরুতেই নেই শান্ত-রাব্বি

ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়েও কোনোভাবেই অলআউট করা যাচ্ছিল না ভারতকে। দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব জুটি। সেটা অব্যাহত থেকেছে দ্বিতীয় সেশনের বেশ কিছু সময়জুড়ে। তবে এই দুইজনের বিদায়ের পর আর বেশিদূর আগাতে পারেনি সফরকারীরা।

কোনো রান না করেই ফিরেছেন শান্ত

শেষদিকে অশ্বিন ও কুলদীপের প্রতিরোধের পর প্রথম ইনিংস ৪০৪ রানে অলআউট হয়েছে লোকেশ রাহুলের দল। জবাব দিতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে হাঁটেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর দলীয় ৫ রানে ইয়াসির আলি রাব্বিকেও হারায় স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশ শিবিরে উৎসবের উপলক্ষ্য বয়ে আনেন এবাদত হোসেন চৌধুরী। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা শ্রেয়াশ আইয়ারকে ফেরান এই ডানহাতি পেসার। এরপরও সে সেশনটা নিজেদের করে নেয় ভারত। অষ্টম উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে মধ্যাহ্ণ বিরতিতে যান অশ্বিন ও কুলদীপ। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ফিফটি তুলে নেন আগেরজন।

ব্যক্তিগত ৫৮ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দেন অশ্বিন। সেই সাথে ভাঙে ৯২ রানের জুটি। কিছুক্ষণ পর কুলদীপও বিদায় নেন। তাইজুলের শিকার হওয়ার আগে ৪০ রান করেন তিনি। ইনিংসের ১৩৪তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজকে ফেরান মিরাজ। অপরপ্রান্তে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন উমেশ যাদব।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ভারতের হয়ে সবচেয়ে সফল চেতেশ্বর পুজারা। ১১ চারের সাহায্যে ৯০ রান করেন তিনি। ৪৬ রান করে আউট হন পন্ত। প্রথম দিনশেষে অপরাজিত ছিলেন আইয়ার ও অশ্বিন। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এবাদতের শিকার হওয়ার আগে ৮৬ রান করেন আইয়ার। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সমান চারটি করে উইকেট নেন মিরাজ ও তাইজুল। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন এবাদত ও খালেদ আহমেদ।