আফ্রিকায় চীনকে মোকাবেলা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস-আফ্রিকা লিডারস সামিট আজ শেষ হচ্ছে। গত মঙ্গলবার তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়। এই সম্মেলনে স্পষ্ট হয়েছে, আফ্রিকায় চীনকে টেক্কা দেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের মূল টার্গেট। আফ্রিকান দেশগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্র গভীর কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে চায়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইউএস-আফ্রিকা লিডারস সামিট

সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফ্রিকার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের নতুন যুগের শুরু হলো। আফ্রিকার ভবিষ্যতের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ অবদান রাখতে চায়। এজন্য ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাব মোকাবেলা করতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন। সম্মেলনে আফ্রিকার ৪৯ দেশের নেতারা অংশ নেন।

ওয়াশিংটনের লক্ষ্য, চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় সুফল পেতে আফ্রিকান দেশগুলোর কৌশলগত অংশীদার হতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আফ্রিকার খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু সংকট এবং বাণিজ্য অংশীদারিত্ব বাড়াতে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন বলেন, আফ্রিকায় বিনিয়োগ বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য আমরা বাণিজ্য কর্মসূচির উন্নতি করতে চাই।

তাছাড়া আফ্রিকার দেশগুলোর সাথে মুক্ত বাণিজ্যে অংশ নিতে একটি নতুন চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি মার্কিন কোম্পানিগুলো আফ্রিকার ১.৩ বিলিয়ন জনশক্তি কাজে লাগাতে এবং ৩.৪ ট্রিলিয়ন মূল্যের বাজারে প্রবেশাধিকার চায়। ২০১৪ সালের পর থেকে ওয়াশিংটনে এই প্রথম আফ্রিকান নেতাদের নিয়ে সম্মেলন করল যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে চীন ২০০০ সাল থেকে প্রতি তিন বছর পরপর চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের সম্মেলন আয়োজন করে আসছে। এসব সম্মেলনের মাধ্যমে আফ্রিকায় চীন কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় দুই দশক ধরে বেইজিং আফ্রিকার অবকাঠামো তহবিল যোগাড়ে সহায়তা দিয়েছে। দেশগুলোতে সস্তায় ভোগ্যপণ্য, সোলার প্যানেল থেকে শুরু করে প্লাস্টিক পণ্য সবই সরবরাহ করছে চীন।

সম্মেলনে মার্কিন নেতারা বেইজিংয়ের সমালোচনা করেন। সম্মেলন শুরুর আগে এক অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটনের চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন, চীনা নির্মিত হাসপাতাল, বিমানবন্দর ও স্টেডিয়ামের মতো অবকাঠামো আফ্রিকার যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে। চীন-আফ্রিকা বাণিজ্যের পরিমাণ এখন ২৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের (৬৪.৩ বিলিয়ন ডলার) চেয়ে চারগুণ।