ইরানি ৯ ড্রোন গুলি করে নামানোর দাবি ইউক্রেনের

কিয়েভের আকাশসীমায় ইরানের তৈরি ৯টি ড্রোনকে গুলি করে ভূপতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। ইরানি ড্রোনের ওপর বিশেষ নজরদারি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে তারা। এজন্য ড্রোন হামলার দিকে নজর বাড়ানো হয়েছে। শহর প্রশাসন টেলিগ্রাম অ্যাপে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ইরানি ৯ ড্রোন গুলি করে নামানোর দাবি ইউক্রেনের

ওই বার্তায় বলা হয়, কিয়েভে বর্তমানে বিমান সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে। শত্রুদের ড্রোন হামলার বিপরীতে এয়ার ডিফেন্স কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হলো।

কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় শত্রুদের যেকোনো হামলায় ইউক্রেনের সকল বাহিনী প্রস্তুত। ইউক্রেনকে মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। বিবৃতিতে জনগণকে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। রুশ বাহিনীর কৌশল ব্যর্থ করে দিতে ইউক্রেন আরও অস্ত্র সরঞ্জাম সহায়তা কামনা করেছে বিশ্বনেতাদের কাছে।

এদিকে কিয়েভের শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কিয়েভ ও আশপাশ অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ শোনা গেছে। এর আগে কিয়েভের গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা বলেন, কিয়েভ ও আশপাশের অঞ্চল ড্রোন হামলার টার্গেট করেছে রুশ বাহিনী।

তবে বিস্ফোরণগুলো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে, নাকি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হচ্ছে তা স্পষ্ট করতে পারেনি রয়টার্স। বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে। তবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

রাশিয়ার হামলা অব্যাহত থাকায় রাজধানী কিয়েভ এখনও বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ধসে পড়েছে। বাসিন্দারা তীব্র শীতে তাপ উৎপাদন করতে পারছে না। তাদের রাতের বেলায় অন্ধকারে কাটাতে হচ্ছে।

তবে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরের অনেকাংশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। কিয়েভে তাপমাত্রা গত সপ্তাহে হিমাঙ্কের নিচে ছিল। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ না থাকায় তারা সীমাহীন কষ্টের মধ্যে পড়ে। বাসিন্দারা সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে নানা সমস্যা সমাধানের জন্য ভিড় জমাচ্ছে। এসব সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করার প্রচেষ্টা করছে কিয়েভ।