আলোচনা স্থগিত, সৌদির সাথে বসবে না ইরান

আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে বাগদাদের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক আলোচনা স্থগিত হয়েছে। ইরাকের একাধিক কর্মকর্তা এই খবর নিশ্চিত করেছেন। ইরানের চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পশ্চিমা বিশ্বসহ সৌদি আরবের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ তেহরানের।

সৌদি আরব এবং ইরানের পতাকা

ইরাকি আইনপ্রণেতা এবং সংসদীয় বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য আমের আল-ফায়েজ বলেছেন, ইরান-সৌদি আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে এবং এটি এই অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ইরাকের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী গত মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, ইরাককে সংলাপ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এটি আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

গত জানুয়ারিতে ইরাকের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে পঞ্চম দফা আলোচনা হয়েছিল। এবার ষষ্ঠ দফা আলোচনার জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করার কথা ছিল। কিন্তু তেহরান সৌদি কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করতে অস্বীকার করার কারণে সেটি আর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইরাকি কর্মকর্তারা।

নভেম্বরে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আল সুদানি প্রথমবার এক সরকারী সফরে তেহরান যান। সেসময় তিনি ষষ্ঠ দফা আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ইরানিরা তাকে বলেছিলেন যে তারা সৌদি প্রতিপক্ষের সাথে দেখা করবেন না। এছাড়া সৌদি অর্থায়িত মিডিয়া চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানের বিক্ষোভকে সমর্থন করার জন্য সৌদি সরকারকে অভিযুক্তও করেছেন তারা।    

ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী, শিয়া মুসলিম রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্ব সহ পাঁচজন ইরাকি কর্মকর্তা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মিডিয়ার সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করার অনুমতি না থাকায় সকলেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন।

এদিকে ইরানের জাতিসংঘ মিশনও নিশ্চিত করেছে যে আলোচনা স্থগিত হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে তারা কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। 

উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনি নামের ২২ বছর বয়সি এক কুর্দি তরুণী পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরানিরা। হিজাববিরোধী বিক্ষোভটি বর্তমানে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। চলমান এই বিক্ষোভে সৌদি আরব, ইসরায়েল, আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বের উস্কানি রয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান সরকার।

সূত্র: দ্য নিউ আরব