ফিফা বিশ্বকাপ: কাতারকে ধন্যবাদ মাহমুদ আব্বাসের

ফিফা বিশ্বকাপ চলাকালে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য কাতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। গত রোববার সফলভাবে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল-থানিকে দেওয়া এক অভিনন্দনবার্তায় তিনি ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের জন্য কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। খবর ওয়াফা নিউজ।

মাহমুদ আব্বাস

মাহমুদ আব্বাস বার্তায় লেখেন, কাতার বিশ্বকাপ আমাদের আত্মা এবং আমাদের আরব দেশগুলোর আত্মাকে গর্বিত করেছে। তিনি কাতার এবং টুর্নামেন্টের সুন্দর, সফল আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, এটি কাতারের অনেক অর্জনের সাথে একটি ঐতিহাসিক সংযোজন। একই সাথে টুর্নামেন্টজুড়ে ফিলিস্তিনকে অব্যাহতভাবে সমর্থন জানিয়ে যাওয়া পুরো বিষয়টিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। পুরো বিশ্বের কাছে ফিলিস্তিনকে উপস্থাপন করার এটি ছিল একটি অভূতপূর্ব উপায়।

কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রতিটি ম্যাচে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে। কখনো সমর্থকরা সে পতাকা উড়িয়েছেন, আবার কখনো সেটি মাঠে নিয়ে এসেছেন স্বয়ং খেলোয়াড়েরা। আবার অনেক সমর্থক স্টেডিয়ামের ভেতরে বাইরে ফিলিস্তিনিদের বিশেষ রুমাল কিফিয়া পরতেন।

মরক্কো দলের সাথে ফিলিস্তিনি পতাকা

কাতারে ইসরায়েলি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানানো আরব নাগরিকদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইসরায়েলি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তারা বলতেন, এটি ইসরায়েল নয়, এটি ফিলিস্তিন।

বিষয়গুলো উল্লেখ করে ওয়াফা নিউজে বলা হয়, কাতার বিশ্বকাপ এই সত্যটিকে সামনে নিয়ে এসেছে যে, ফিলিস্তিনের বিষয়টি এখনও আরব ও মুসলিম বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু। বিষয়টি এখনও মুসলিম উম্মাহ এবং বিশ্বের সমস্ত মুক্ত মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করছে। কাতার বিশ্বকাপের সময় বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিষয়টির সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে, যা ফিলিস্তিনিদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ এবং বৈধ ফিলিস্তিনি অধিকারের জন্য স্পষ্ট সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ।

ফিলিস্তিনের ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসও বলেছে, বিশ্বকাপের সময় ফিলিস্তিন ইস্যুটিকে সবার চোখের সামনে তুলে আনতে কাতার বড় ধরনের অবদান রেখেছে। হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি এক টুইটে লেখেন, ২০২২ বিশ্বকাপে আসল বিজয়ী হলো কাতার। কারণ একটি দুর্দান্ত টুর্নামেন্টের সফল আয়োজন করে তারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। দেশটি সত্যিকার অর্থে নিজেদের পরিচয় ও সভ্যতা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিন ইস্যুটিকে ওপরে তুলে আনতে অবদান রেখেছে। অভিনন্দন, কাতার! এই চমৎকার অর্জনের জন্য আপনারা গর্বিত হওয়ার যোগ্য।