চীনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ডব্লিউএইচও

করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ আঘাত হেনেছে চীনে। এরইমধ্যে রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। আশংকা করা হচ্ছে, হাসপাতালগুলো এরইমধ্যে করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। সংক্রমণের এই ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর বিবিসি।

চীনে করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ আঘাত হেনেছে

চীন এতোদিন ‘শূন্য কোভিড’ নীতির আওতায় লকডাউন, কোয়ারেন্টাইনসহ করোনার কঠোর বিধিনিষেধ চালু রেখেছিল। সম্প্রতি করোনার বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বেইজিং, সাংহাইসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হলে চলতি মাসের শুরু থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয় দেশটির সরকার। এরপর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দেশটিতে কেউ মারা না গেলেও সংক্রমণের শিকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ। করোনা শনাক্তের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ না করলেও মঙ্গলবার পাঁচজন এবং আগের দিন সোমবার দুইজন মারা যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ।

চীন সরকারের দাবি, করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যগবেষণা প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটির তথ্য অনুযায়ী, চীনে এখন প্রতিদিনই ১০ লাখের বেশি করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দৈনিক মৃত্যু হচ্ছে ৫ হাজারের বেশি মানুষের।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আদহানম গেব্রেয়াসুস বলেন, চীনে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে ডব্লিউএইচও খুবই উদ্বিগ্ন।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, রোগের তীব্রতা, হাসপাতালে ভর্তি ও আইসিইউর প্রয়োজনীয়তার নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে চীন সরকারের কাছে। চীনা জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসাসেবায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে যাবে ডব্লিউএইচও।