দুই মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো চীন

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে এখন পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার খেলা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এবার তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ওয়াশিংটনের প্রতিশোধ হিসেবে দুই মার্কিন নাগরিককে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। এপির বরাত দিয়ে লস এঞ্জেলস টাইমস এ খবর দিয়েছে।

দুই মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো চীন

শুক্রবার চীন সরকার জানিয়েছে, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি বেইজিংয়ের আচরণ নিয়ে বৈরিতার মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, টড স্টেইন এবং মাইলস ইউ মাওচুন। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ফলে তারা চীনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীনে থাকা ওই দুই ব্যক্তির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং চীনের কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিব্বতে মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে দুই চীনা নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নিয়মাবলী লঙ্ঘন করায় চীন ওই দুই নাগরিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। স্টেইন ও ইউ দুজন তিব্বত ও চীন সম্পর্কিত ইস্যুতে জঘন্য আচরণ করেছে। তিব্বতের বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং হস্তক্ষেপ করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই। এ বিষয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাও নিং বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানাই। তবে চীনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন নাগরিক স্টেইন বা ইউ কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালে তিব্বতের শীর্ষ কর্মকর্তা উ ইং জি এবং ২০১৮ সাল থেকে তিব্বতের পুলিশ প্রধান ঝাং হংবোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, তিব্বত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের নির্বিচারে আটক ও নির্যাতন বন্ধ করতে চায়।