মক্কায় ভারী বর্ষণ, স্রোতে ভেসেছে গাড়ি

ভারী বর্ষণ ও বন্যায় পবিত্র নগরী মক্কায় শতাধিক যানবাহন ভেসে গেছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি গভীর রাতে থেমে গেলেও শহরের কিছু সড়ক এখনও জলমগ্ন রয়ে গেছে। বন্যায় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হলেও কারও অসুস্থ বা আহত হবার খবর পাওয়া যায়নি বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মক্কায় ভারী বর্ষণ, স্রোতে ভেসেছে গাড়ি

সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স মহাপরিচালকের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে আহত হবার বা প্রাণহানির কোনো খবর কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করতে পারবেন।

সামাজিক মাধ্যমে পোস্টকৃত ছবি ও ভিডিওতে মক্কার বেশ কয়েকটি সড়কে জলের তোড়ে গাড়ি, পিক আপ ভ্যান, জিপ ও অন্যান্য ভারী যানবাহন ভেসে যেতে দেখা যায়। পবিত্র হারাম শরীফে প্রার্থনারতরা প্রবল বৃষ্টিতে ভেজা ইহরাম পরেই ইবাদত করেছেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন।

বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকষ্মিক বন্যায় মক্কা নগরীতে সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। জেদ্দা নগরীর আল-হারামাইন রোডসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বন্যার কারণে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মক্কা-জেদ্দা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। মক্কা আল-মুকাররামাহ অঞ্চলের বেশকিছু সুড়ঙ্গপথ বন্যার কারণে বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ রাতে থেমে যায়

মক্কার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ শহরের অধিবাসীদের অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতিরেকে ঘরের বাইরে না যাবার পরামর্শ দিয়েছে। যেসব জায়গায় বৃষ্টির পানি জমা হয়, নিরাপত্তার স্বার্থে সে এলাকাগুলো পরিহার করতে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

হারাম শরীফ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত জেনারেল প্রেসিডেন্সি ফর দ্য অ্যাফেয়ার্স অব দ্য গ্র্যান্ড মস্ক প্রবল বর্ষণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় চার হাজার কর্মী ও দুই শতাধিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে। হারাম শরীফের আঙিনায় যাতে পানি জমতে না পারে, সেজন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

এর আগে গত মাসে বন্দরনগরী জেদ্দায় ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকষ্মিক বন্যায় দুইজনের প্রাণহানি ঘটে।