আপনি পড়ছেন

২০২২ সালে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে হারিয়েছে বিশ্ব। প্রত্যেকেই জীবদ্দশায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। তবে তাদের কেউ ছিলেন নায়ক, কেউ ভিলেন। পাঠকদের জন্য তাদের পরিচয় তুলে ধরা হলো।

shinzo abe hebe de bonafini elizabeth ii mikhail gorbachev fidel ramosশিনজো আবে, হেবে ডি বোনাফিনি, দ্বিতীয় এলিজাবেথ, মিখাইল গর্বাচেভ, ফিদেল রামোস

শিনজো আবে (জন্ম ১৯৫৪): জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান সামরিক ও কূটনৈতিক দিক দিয়ে যে চুপ থাকার নীতি গ্রহণ করেছিল, শিনজো আবে ছিলেন তা দূর করার কট্টর সমর্থক। তার নানা ও মামা উভয়েই প্রধানমন্ত্রী এবং বাবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। এলডিপির কর্মী সমাবেশে আবেকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল।

হেবে ডি বোনাফিনি (জন্ম ১৯২৮): ১৯৭০ এর দশকের শেষদিকে আর্জেন্টিনায় সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় থাকার সাত বছরে প্রায় ৩০ হাজার আর্জেন্টাইন নিখোঁজ হয়েছিল। সে সময় দেশটির মানবাধিকার গ্রুপ ‌’মাদারস অফ প্লাজা ডি মায়ো’ প্রতিষ্ঠা করেন হেবে ডি বোনাফিনি নামে এক নারী। তার নিজ সন্তানও নিখোঁজ ছিল। তার পুত্রকে সন্ধান করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন বহু মা তাদের সন্তান খুঁজছেন। ডি বোনাফিনি এ সকল মা-দের সংগঠিত করেন এবং তারা প্লাজা ডি মায়োতে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবশেষে ১৯৮৩ সালে মার্কিন সমর্থিত শাসক জান্তার পতন ঘটে।

দ্বিতীয় এলিজাবেথ (জন্ম ১৯২৬): রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাত দশক ধরে ব্রিটেনের রাজত্ব করেন। তিনি লন্ডনে প্রিন্সেস এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। এলিজাবেথের বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জ। তিনি ১৯৫২ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর নাটকীয়ভাবে এলিজাবেথ রানী হন এবং ১৯৪৭ সালে গ্রিস এবং ডেনমার্কের প্রিন্স ফিলিপকে বিয়ে করেন। তার মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস রাজা হন। দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্ব বিশ্বে ব্রিটেনের ভূমিকায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখেছিল। মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাসকে নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।

মিখাইল গর্বাচেভ (জন্ম ১৯৩১): সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিখাইল গর্বাচেভ আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনীকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি রাশিয়ার একটি কৃষক পরিবারে জন্ম নেন। ১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে গর্বাচেভ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। তিনি পেরেস্ট্রোইকা (অর্থনৈতিক পুনর্গঠন) এবং গ্লাসনোস্ট (রাজনৈতিক উদ্বোধন) নীতিগুলো প্রবর্তন সোভিয়েত ইউনিয়নকে পতনের দিকে নিয়ে যান।

এছাড়া মারা গেছেন-

বার্মিজ গণতন্ত্রকর্মী ফিও জেয়া থাও (জন্ম ১৯৮১), মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত খলিফা আবু বকর আল-বাগদাদির উত্তরসূরি আবু ইব্রাহিম আল-হাশিমি আল-কুরায়শি (জন্ম ১৯৭৬)।

অস্ট্রিয়ান ইহুদি মিমি রেইনহার্ড (জন্ম ১৯১৫), পোল্যান্ডের নাৎসি শিবিরের ১১০০ ইহুদিকে বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন তিনি।

মিশরীয় শল্যচিকিৎসক আল কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি (জন্ম ১৯৫১)।

অতি-জাতীয়তাবাদী রাশিয়ান রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি (জন্ম ১৯৪৬), বেলজিয়ান নাগরিক মনিক হ্যানোট পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের প্রাক্কালে ৪১ জন জাপানি জিম্মিকে মুক্তি দিতে সাহায্য করেছিলেন।

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল রামোস, যিনি পূর্ব জার্মানির গোপন পুলিশ গেস্টাপোর সর্বশেষ প্রধান।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.