ম্যাক্রন: বিজয় না আসা পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে থাকব

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেছেন, বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ইউক্রেনকে সাহায্য করব, ইউক্রেনের পাশে থাকব। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা আপনার পাশে থাকব, এতে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। ইংরেজি নববর্ষের অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাস দেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন

ম্যাক্রন বলেন, আমরা কিয়েভকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা শেষ পর্যন্ত রক্ষা করে যাব। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ইউক্রেনের বিধ্বস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যাপারে তিনি বলেন, আগে থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চয়ের মতো পদক্ষেপ নিলে জনগণের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

ফ্রান্স শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রতি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। যুদ্ধ বন্ধেও ম্যাক্রন চেষ্টা চালিয়েছেন। তিনি পুতিনের সাথে এ ব্যাপারে সাক্ষাৎও করেছেন। তবে পুতিন তার কোনো প্রস্তাব মেনে নিতে রাজি হননি। ম্যাক্রন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। যুদ্ধের মধ্যে কিয়েভে সফরও করেছেন তিনি।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে যুদ্ধ শুরু হয়। প্রথমে মনে হয়েছিল, যুদ্ধ মাস খানেক চলতে পারে। প্রথম দিকে কিয়েভ আক্রমণ করার পর রুশ বাহিনী পিছু হটে। তখন রাশিয়ার পরিকল্পনা মূলত বিশ্ববাসীর কাছে অজানা ছিল। সর্বশেষ চারটি অঞ্চল রাশিয়ান ফেডারেশনের সাথে যুক্ত করার পর মস্কোর পরিকল্পনা স্পষ্ট হয়।

জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেৎস্কতে এখন মস্কোর প্রশাসন কার্যকর হয়েছে। কিয়েভ বাহিনী প্রতিরোধ করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। কিছু দখলীয় এলাকা পুনরুদ্ধার করলেও ওই চার অঞ্চলের প্রশাসনিক ক্ষমতা এখন মস্কোর হাতে। অঞ্চলগুলোতে নির্বাচনও দিয়েছে রাশিয়া। তবে নির্বাচনের ফলকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রহসন বলে উল্লেখ করে।

ইউক্রেন দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনকে রাশিয়া প্রায় বিদ্যুৎহীন করে দিয়েছে। বৃষ্টির মতো প্রায়ই ক্ষেপণাস্ত্র ঝরছে কিয়েভের আকাশে। যুদ্ধবিরতির সব প্রচেষ্টা আপাতত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।