নববর্ষ উদযাপনের মুহূর্তেও বিস্ফোরণে কাঁপল কিয়েভ

নববর্ষ উদযাপনের মুহূর্তেও ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গত তিন দিনে দ্বিতীয় দফা হামলার শিকার হয়েছে দেশটি। কিয়েভের সোলোমিয়ানস্কি জেলার আবাসিক ভবনগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলার পর ওই এলাকায় জরুরি পরিষেবা জোরদার করা হয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

নববর্ষ উদযাপনের মুহূর্তেও বিস্ফোরণে কাপল কিয়েভ

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, হামলায় অন্তত একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন জাপানি সাংবাদিক রয়েছেন। কিয়েভেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। নববর্ষের মধ্যরাতেই এই হামলাগুলো হয়। রয়টার্সের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেনজুড়ে বিপদ সাইরেন বাজানো হয়েছে।

এদিকে সাইরেন শোনার সাথে সাথে ইউক্রেনীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি ইউক্রেনের বীর সেনাদের পক্ষেও স্লোগান ওঠে। জনগণ ‘ইউক্রেনের বীররা ইউক্রেনের গৌরব’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলো। বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা একটি ক্ষেপণান্ত্রের ভাঙা অংশ কিয়েভে একটি গাড়িকে আঘাত করেছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

কিয়েভের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শহরের সামরিক প্রশাসন ২৩ রাশিয়ান উড়ন্ত ডিভাইস ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সেনারা লড়াই চালিয়ে যাবে। নববর্ষের ভাষণে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি যুদ্ধরত সেনাদের ধন্যবাদ জানান এবং দেশমার্তৃকা বাঁচাতে লড়াই করার জন্য উৎসাহ যোগান।

জেলেনস্কি নববর্ষ উপলক্ষে আবেগপূর্ণ ও প্রতিবাদী বক্তব্য দেন। যুদ্ধে জড়িত সেনা ও কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলতে চাই- ইউক্রেনীয়রা অবিশ্বাস্য কার্যক্ষমতা দেখিয়েছেন। মহান যুদ্ধে কোনো ছোট বিষয় নেই। সবাই আমরা যোদ্ধা। আমরা কী করেছি, কী করছি এসব ভাবলে চলবে না। আমরা সবাই মহান কার্যক্রমে যুক্ত আছি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৩ হাজার বা তার বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধে রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনার নিহত হয়েছে।