আজ দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন ৯২ বাংলাদেশি কর্মী

বাংলাদেশ থেকে নতুন বছরে ৭ হাজার কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া। এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় প্রথম ব্যাচ হিসেবে আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন ৯২ বাংলাদেশি।

নতুন বছরে ৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে দক্ষিণ কোরিয়া

ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বাংলাদেশি কর্মীরা।

কোরিয়া সরকার চাচ্ছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ শ্রমিককে নেবে তারা। প্রথম ব্যাচে যাওয়া ৯২ জনের মধ্যে নতুন কর্মী ৬৯ জন।

বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল) আশা করছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাত হাজার কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো যাবে। দেশটিতে যেতে  নতুন কর্মীদের বর্তমানে জামানতসহ মোট দুই লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে।

নিম্ন ও মাঝারি দক্ষ বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার একটি অন্যতম কর্মসংস্থান ব্যবস্থার নাম এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস)। এর প্রোগ্রামের আওতায় ৩৯ বছরের কম বয়সী এবং কোরিয়ান ভাষার দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কর্মীই দেশটিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।

ইপিএস প্রোগ্রামের আওতায় সর্বশেষ ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন ৫ হাজার ৮৯১ জন বাংলাদেশি।

করোনা মহামারির কারণে মাঝে প্রায় দেড় বছর কর্মী নেওয়া বন্ধ রেখেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। পরে ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ফের কর্মী নেওয়া শুরু করে দেশটি।

বোয়েসেল জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৬৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মীকে ইপিএসের আওতায় কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে।

বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে এবং সেজন্য যোগ্য কর্মী প্রস্তুত ও তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বৈচিত্র্য আনতে ঢাকায় কোরীয় দূতাবাস এবং ইপিএস সেন্টারের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তথ্যে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৩ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।