কাশ্মিরে গুলি ও বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ৬

ভারত শাসিত কাশ্মিরে গুলি ও বিস্ফোরণে গত দুদিনে দুই শিশুসহ ছয়জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। ৩ জানুয়ারি, সোমবার দক্ষিণ রাজৌরি জেলার ধংরি গ্রামে একটি বাড়ির কাছে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার একদিন আগে বন্দুকধারীদের গুলিতে চারজন নিহত হয়। ভয়েস অব আমেরিকা, টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

কাশ্মিরে গুলি ও বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ নিহত ৬

নিহত দুই শিশুর মধ্যে ৫ বছরের ছেলে ও ১২ বছরের মেয়ে রয়েছে। কাশ্মিরের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা মুকেশ সিং জানান, বন্দুকধারীরা গত রোববার রাতে ধানগড়িতে নির্বিচারে কয়েকটি বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

পুলিশ এসব হামলার পেছনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত যোদ্ধাদের দায়ী করেছে। অঞ্চলটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা। সামরিক নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি এই হামলা হয়। হামলার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ এবং হামলাকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ধনগড়ি একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম এবং নিহতরা সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ধানগড়িতে শত শত মানুষ জড়ো হয় এবং হামলাকারীদের নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করে। বিক্ষোভকারীরা লাশ ঘিরে প্রতিবাদ জানায়।

হামলার পর নয়াদিল্লির শীর্ষ প্রশাসক মনোজ সিনহা গ্রামটি পরিদর্শন করেন। তার সামনেই গ্রামবাসী প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে। বিচার না পেলে তারা মৃতদেহগুলো সৎকার করতে অস্বীকার করে। মনোজ সিনহা বলেন, তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন, এই ঘৃণ্য হামলার পেছনে যারা আছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই কাশ্মিরের স্বাধীনতার প্রশ্নে যার যার মতে অটল। পাকিস্তান কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায় আর ভারত নিজস্ব অঞ্চল দাবি করে। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত সরকার কাশ্মিরের স্বতন্ত্র মর্যাদা কেড়ে নেয়। ভারতের এই পদক্ষেপে স্বাধীনতাকামীরা আরও ক্ষেপে যায়। ১৯৮৯ সাল থেকে কাশ্মিরি স্বাধীনতাকামীরা ভারতীয় শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।