রোনালদো: ইউরোপ পর্তুগাল থেকেও প্রস্তাব পেয়েছিলাম

স্পোর্টিং সিপি দিয়ে ২০০২ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর কেটে গেছে প্রায় ২০ বছর। এই লম্বা সময়ের পুরোটা জুড়েই ইউরোপের বেশ কয়েকটি ক্লাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন পর্তুগিজ যুবরাজ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা জুভেন্টাস সব জায়গাতেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন সিআরসেভেন

তবে চলমান মৌসুমের শুরু থেকেই রাহুর দশা ভর করে রোনালদোর ওপর। সাবেক ক্লাব ম্যানইউ’র প্রধান কোচ এরিক টেন হ্যাগের সাথে মতের অমিল থাকায় শুরুর একাদশে জায়গা হারান। সেখানেই সবকিছু সীমাবদ্ধ থাকেনি। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সিআরসেভেনের সাথে চুক্তি বাতিল করে ম্যানইউ। 

এরপর বেশ কয়েকটি ইউরোপিয়ান ক্লাবে ধরনা দেন রোনালদোর এজেন্ট জর্জ মেন্ডেস। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে জেনে যান সবাই। তাতে অবশ্য কোনো কাজ হয়নি। সাবেক ম্যানইউ তারকার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো শীর্ষ ক্লাব। তাই বাধ্য হয়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে পাড়ি জমিয়েছেন রোনালদো। বিষয়টাকে ভালোভাবে নিতে পারছেন না ভক্তরা।

রোনালদো

আল নাসেরে যোগ দেওয়ায় সমালোচকরা রোনালদোকে কথার তীরে বিদ্ধ করতে ছাড়ছেন না। অনেকে তো বলেই বসছেন, হয়তো ফুরিয়ে গেছেন এই ফরওয়ার্ড। তাই শেষমেষ সৌদি আরবের যেতে হলো। গত কয়েকদিন ধরে এমন কথা শোনে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন রোনালদো। অবশেষে এবার সব কথার জবাব দিলেন নিজস্ব ঢঙে। তাতে নতুন করে যেন সমালোচনাকে উস্কে দিলেন তিনি।

সৌদি আরবে পৌঁছে গত রাতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রোনালদো বলেন, ‘ইউরোপে আমার কাজ শেষ হয়েছে। আমি ইউরোপে অনেক কিছু অর্জন করেছি। মানুষজন সৌদি আরবের ফুটবল সম্পর্কে হয়তো জানে না। ইউরোপ থেকে আমি অনেক প্রস্তাব পেয়েছিলাম। ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, এমনকি পর্তুগাল থেকেও প্রস্তাব পেয়েছিলাম। অনেক ক্লাব আমার সাথে চুক্তি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি আল নাসেরকে কথা দিয়েছিলাম।’