ইসরায়েলকে উসকানি বন্ধের আহ্বান চীন-রাশিয়ার

ইসরায়েলি কট্টরপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের আল আকসায় প্রবেশ নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) তোপের মুখে পড়েছে দেশটি। ফিলিস্তিন ও পূর্ব জেরুজালেমে অস্থিরতা নিয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনা হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা ইসরায়েলের সঙ্গে একমত পোষণ করেনি। ইসরায়েলকে উসকানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে চীন, রাশিয়া। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

ইসরায়েলের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকে নেতারা

ইউএনএসসির বৈঠকে ইসরায়েলি মন্ত্রীর উসকনিমূলক কার্যকলাপে উদ্বেগ প্রকাশ করা হযেছে। আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে বেন গভিরের প্রবেশ নিয়ে চরম সমালোচনা করেন নেতারা। তারা আল আকসায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন। ইউএনএসসির সদস্যদের প্রতি তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। ইসরায়েল আর কতবার সীমা লঙ্ঘন করবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের প্রতি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

মনসুর বলেন, বেন গভির পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এবং তিনি বর্ণবাদী দলের একজন নেতা। তিনি চরমপন্থা দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন। তিনি মুসলিমদের মসজিদে ইহুদিদের প্রবেশ করিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চান। জাতিসংঘকে অবশ্যই ইসরায়েলের এই স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ এবং পূর্বজেরুজালেমে স্থিতিবস্থা চাই।

জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খালেদা খিযারি কাউন্সিলকে বলেন, ২০১৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলি মন্ত্রিপরিষদের কোনো সদস্য আল আকসায় উত্তেজনার সৃষ্টি করেছেন। তবে সেখানে সহিংসতার কোনো ঘটনা হয়নি। তবে অতীতে তিনি উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত গিলদা এরদান বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের বলেন, ইহুদি ধর্মের মানুষদের আল আকসায় প্রবেশের অধিকার রয়েছে। এটি প্রতিটি ইহুদির অধিকার। বেন গভিরের সফরে শান্তির কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। আর শান্তি বিঘ্নিত হবে এমন কোনো পরিকল্পনা ইসরায়েলের নেই।

মার্কিন ডেপুটি দূত বরার্ট উড কাউন্সিলকে বলেন, ইসরায়েল একতরফা কর্মের জন্য আমরা উদ্বিগ্ন। দেশটির কর্মকাণ্ড দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমধানের কার্যকারিতা হ্রাস করবে। নেতানিয়াহু সরকারের উচিত হবে পবিত্র স্থানগুলো নিয়ে স্থিতিবস্থা বজায় রাখা।