ভড়কে দিলেন সাকিব: ‘প্রেসিডেন্ট’ হওয়াই তো ভালো

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর শুরুর আগে টুর্নামেন্ট নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাকিব আল হাসান। একটি অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিপিএলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। সাকিব জানান, বিপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পেলে দুই-এক মাসের মধ্যে সব বদলে ফেলবেন তিনি।

সাকিব আল হাসান

পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিপিএল গভর্নিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সোহেল সাকিবকে পরবর্তী মৌসুমে টুর্নামেন্টের সিইও হিসেবে স্বাগত জানান। সোহেল বলেন, ‘সাকিব চাইলে আগামী মৌসুমে সিইওর দায়িত্ব পালন করুক। আমি সাকিবকে ধন্যবাদ এবং স্বাগত জানাই।’ এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পরও অবশ্য সাকিব পার পেয়ে যাচ্ছে বিসিবির দুর্বলতার কারণেই।

রোববার এ প্রসঙ্গটি আবারও ফিরে এলো। সত্যিই যদি সিইও হওয়ার প্রস্তাব পান সাকিব তাহলে কী করবেন? উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে ভড়কে দিয়েছেন তিনি। বাঁহাতি অলরাউন্ডার হতে চান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘হলে তো প্রেসিডেন্ট হওয়াই ভালো।’ কথাটা অবশ্য নিছক মজা করেই বলেছেন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

গতকাল একটি পণ্যের পণ্যের দূতিয়ালি করতে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা বলেন সাকিব। সেটা স্রেফ মজা হলেও সাকিবের এটাই যে মনের কথা সেটিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। গেল ৪ জুন গালফ অয়েলের সিইও হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে বসেছিলেন সাকিব। সেখানেই বিপিএলের সিইও হলে কী করবেন জানতে চায় প্রচারমাধ্যম।

উত্তরে সাকিব বলেছিলেন, ‘আমাকে যদি সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আমার বেশি দিন সময় লাগবে না। দুই-এক মাসের মধ্যে সব ঠিক করে ফেলব। (বিপিএলের) একটা যা-তা অবস্থা। বিপিএলের চেয়ে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) আরও ভালোভাবে আয়োজন করা হয়।’

পরে সাকিবের কথার শুর ধরে বিপিএলকে ‘হ য ব র ল’ টুর্নামেন্ট বলে আখ্যা দেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এবারের আসরে তিনি সিলেট স্ট্রাইকার্সের নেতৃত্বে আছেন। আর সাকিব এবারও ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে খেলছেন।