খামেনির কার্টুন: তেহরানে ফরাসি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

ফ্রান্সের বিতর্কিত ব্যঙ্গাত্মক সাময়িকী শার্লি এবদোয় প্রকাশিত আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কার্টুনের প্রতিবাদে ৮ জানুয়ারি, রোববার তেহরানে ফরাসি দূতাবাসের বাইরে শত শত ইরানি বিক্ষোভ করেছেন। খবর এএফপি

তেহরানে ফরাসি দূতাবাসের সামনে ইরানিদের বিক্ষোভ

গত সপ্তাহে শার্লি এবদো ইরানে চলমান বিক্ষোভের সমর্থনে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছিল। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মারা গিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি। এরপর থেকেই ইরানে বিক্ষোভ চলছে।

ইরান অপমানজনক এবং অশ্লীল কার্টুনগুলোর জন্য ফ্রান্সকে সতর্ক করেছে। তেহরানভিত্তিক একটি ফরাসি গবেষণা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরানের কেন্দ্রস্থলে দূতাবাসের সামনে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ফরাসি পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেন। বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই ধর্মীয় স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিক্ষোভকারীদের হাতে ইরানের পতাকা এবং খামেনির ছবি ছিল। এতে লেখা ছিল, ‘আমি নেতার জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করব।' বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্স এবং শার্লি এবদোর প্রতি ধিক্কার জানান।

১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী করিম হায়দারপুর বলেন, ‘আমি আমাদের বিপ্লব এবং নেতাকে সমর্থন করতে এসেছি।' তেহরানের ১২৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ইরানের পবিত্র শহর কোমেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি ৮ জানুয়ারি, রোববার বলেছেন, ‘ধর্মকে অপমান করার অজুহাত হিসেবে বাকস্বাধীনতাকে ব্যবহার করা উচিত নয়।'

তিনি টুইটারে লেখেন, ‘বাক স্বাধীনতার অজুহাতে অন্যান্য দেশ, জাতি এবং ধর্মের অনুসারীদের অবমাননা করার কোনো অধিকার ফ্রান্সের নাই।'

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি প্যারিসে শার্লি এবদোর কার্যালয়ে জঙ্গি হামলায় বিখ্যাত কার্টুনিস্টসহ ১২ জন নিহত হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদের (স.) কার্টুন ছাপানোর কারণে এই হামলা করা হয়েছিল। হামলার বার্ষিকী উপলক্ষে ৪ জানুয়ারি, বুধবার একটি বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করে ম্যাগাজিনটি। এই সংখ্যায় ইরানে কয়েক মাস ধরে চলা বিক্ষোভের সমর্থনে খামেনিকে নিয়ে কিছু ব্যঙ্গচিত্রও ছাপা হয়েছে।