দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে তৌহিদ হৃদয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের মৌসুমে স্বপ্নের ফর্মে আছেন তৌহিদ হৃদয়। টানা তিন ম্যাচে করেছেন হাফসেঞ্চুরি। মঙ্গলবার রাতে তো টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটাই খেলে ফেলেন তিনি। কিন্তু তার দুরন্ত ফর্মে বাধা হয়ে দাঁড়াল ইনজুরি।

তৌহিদ হৃদয়

সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিধ্বংসী এই ব্যাটারের আঙুলে সেলাই লেগেছে আটটি। গতকাল রাতেই ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যা জয়ের ধারায় থাকা সিলেটের বড় ধাক্কা হয়েই এলো।

বিপিএলের এই আসরে সিলেটের প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি হৃদয়। পরের তিন ম্যাচেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে তিনি খেলেন ৪৬ বলে ৮৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সিলেট গড়ে রানের পাহাড়। ছাড়ায় দুশো। মাশরাফি বিন মর্তুজার দল জেতে ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে।

অবধারিতভাবেই তিনি হলেন ম্যাচ সেরা। কিন্তু ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি হৃদয়। ঢাকার ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলে চোট পান তিনি। রেজাউর রহমান রাজা অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে কাট করেন ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন। ক্যাচ যায় পয়েন্টে।

কিন্তু তীব্র গতিতে আসা বলে হাত ছোঁয়ালেও ক্যাচটা নিতে পারেননি হৃদয়। আঙুলের ব্যথায় কাতড়াতে থাকেন তিনি। পরে তার হাত দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। পরে ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়ে যান হৃদয়। সেখান থেকে সরাসরি হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। পরে রাত সোড়া একটায় দুঃসংবাদটি জানায় সিলেট।

সিলেটের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন হৃদয়। পরের ম্যাচে ৩৭ বলে ৫৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ঢাকা ম্যাচে আরও বিধ্বংসীরূপে দেখা গেল তাকে। তিনটি ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটর। টুর্নামেন্টের চলতি মৌসুমে ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে তার মোট রান ১৯৫। যা আসরে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ।

আসরে দারুণ ছন্দে আছে হৃদয়ের দল সিলেট সিক্সার্স। চার ম্যাচের সবকটিতে জিতে প্লে-অফ পর্বের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন মাশরাফি অ্যান্ড কোং।