শোয়েবকে ধরতে উমরানের বাকি মাত্র ৫ কিমি

ভারতের নতুন সেনসেশন উমরান মালিক রেকর্ড ভাঙাগড়ার খেলায় মেতেছেন। এক ম্যাচে রেকর্ড গড়ছেন, তো পরের ম্যাচে সেটা আবার নিজেই ভাঙছেন। এই ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে বোলিংয়ে নিজের গতি বাড়াচ্ছেন। পৌঁছে গেছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ গতির বোলিং রেকর্ডের কাছাকাছি। বাকি রয়েছে কেবল পাঁচ কিলোমিটারের দূরত্ব।

শোয়েব আখতার ও উমরান মালিক

শ্রীলঙ্কার সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বল করে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রেকর্ড গড়েছিলেন। কয়েকদিন না যেতেই আবারও রেকর্ডের খাতা নতুন করে লিখলেন। ভারতের গোয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই প্রথম এক দিনের ম্যাচে একটি বল করেন ঘণ্টায় ১৫৬ কিলোমিটার গতিতে।

গতকাল মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৪তম ওভারে রেকর্ডগড়া ওই বলটি করেন কাশ্মির থেকে উঠে আসা এই পেসার।। ওভারের প্রথম বলটি করেছিলেন ১৪৭ কিলোমিটার গতিতে। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলের গতি ছিল ১৫১ কিমি। শ্রীলঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিশঙ্ককে করা চতুর্থ বলটির গতি ভারতের আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। ঘণ্টায় ১৫৬ কিলোমিটার গতির এ বলটিই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও ভারতীয় বোলারের করা সর্বোচ্চ গতির বল।

উমরান মালিক

তবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতির বলের রেকর্ডটি অক্ষত রয়ে গেছে সাবেক পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতারের দখলে। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার একটি বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত এটিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম বল হিসেবে চিহ্নিত। উমরানের বিশ্বাস, তিনি এই রেকর্ড নিজের করে নিতে পারবেন। সে লক্ষ্যেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

গতকালের খেলায় ভারতীয় দল প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ৩৭৩ সংগ্রহ করে। ভারতের হয়ে দুর্দান্ত খেলেন বিরাট কোহলি। ৮৭ বলে ১১৩ রান করে তিনি নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করতে সক্ষম হয়। রেকর্ড গড়া ম্যাচটিতে উমরান তিনটি উইকেট লাভ করেন। ফলে ভারত ৬৭ রানের জয় পায়।

উমরানের আগে সর্বোচ্চ গতির ক্ষেত্রে ভারতে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। তার বলের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫৩.৩৬ কিলোমিটার। এর পরের দুই স্থানে রয়েছেন মুহাম্মদ শামি (১৫৩.৩ কিমি) এবং নভদীপ সাইনি (১৫২.৮৫)।