ছাঁটাইয়ের খবরে অফিসেই কান্না আমাজনকর্মীর!

বিশ্বব্যাপী মন্দার জেরে বড় বড় কোম্পানিগুলো খরচ কাটছাঁটের দিকে হাঁটছে। এক্ষেত্রে বড় কোপটা পড়ছে কর্মীদের ওপর। বড় বড় কোম্পানিগুলো এক নোটিশে হাজার হাজার কর্মীর হাতে ছাঁটাইয়ের নোটিশ ধরিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের ছাঁটাইয়ের কবলে পড়ে চাকরি হারানো কর্মীদের অফিসেই হাউমাউ করে কাঁদতে দেখা যায়। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

আমাজন অফিস

গত বছরের নভেম্বরে আমাজনের পক্ষ থেকে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্প্রতি সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করে আমাজন। ভারতে কর্মরত আমাজন কর্মীদের ৭৫ শতাংশই চাকরি হারিয়েছেন। কর্মীদের হাতে ছাঁটাইয়ের সেসব নোটিশ আসার পর তারা অফিসেই কান্নায় ভেঙে পড়ে।

তাদের এই কান্নার ছবি পোস্ট করে এক সহকর্মী বলেন, কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ সহকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। আমি যদিও কাজ না হারানো ২৫% সৌভাগ্যবানের মধ্যে আছি, তারপরও তাদের কান্না আমাকেও বিচলিত করছে। কাজ করতে উৎসাহ পাচ্ছি না।

টুইটার, মেটার পথ ধরে আমাজন সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছিলেন। জ্যাসি তখন জানিয়েছিলেন, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত আমাদের ১৮ হাজার কর্মীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ভারতের ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছে আমাজন

অ্যামাজনে বর্তমান কর্মীসংকোচনে ভারত অংশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে গুরুগ্রাম ও বেঙ্গালুরুর অফিসগুলোতে। এসব অফিসে অভিজ্ঞ ও নতুন যোগ দেওয়া- সব ধরনের কর্মীই ছাঁটাইয়ের কবলে পড়তে চলেছেন। ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের ফেয়ারওয়েল প্যাকেজ হিসেবে ৫ মাসের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আমাজন। এছাড়া বীমার মতো সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে ছাঁটাই হওয়া এসব কর্মীর জন্য। কিন্তু চাকরি থেকে ছাঁটাই করে, এসব ঘোষণায় খুশি নন কর্মীরা।

ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর আয়ে টান পড়েছে। ফলে কর্মী কমানোর রাস্তায় হেঁটেছে টুইটার, মেটা, মাইক্রোসফট, সেলসফোর্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।