তালেবান: ইসলামিক আইনই গুরুত্ব পাবে

বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার পরও আফগানিস্তানের তালেবান সরকার জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কাছে সবার আগে গুরুত্ব পাবে ইসলামিক আইন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অন্য সব বিষয় নিষ্পত্তি হবে। সম্প্রতি দেশটির নারী অধিকার নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা। খবর খামা প্রেস।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ

তালেবান প্রধান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসলামী আমিরাত ইসলামী শরিয়ার আলোকে সমস্ত বিষয় পরিচালনার চেষ্টা করছে। মানুষ ও ধর্মের প্রতি তার দায়িত্বের কথা বিবেচনা করে, ইসলামী আমিরাত দেশে শরিয়া বিরোধী কাজের অনুমতি দিতে পারে না।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইসলামিক আইনের বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনও কার্যক্রম তারা সহ্য করবেন না। নারী শিক্ষা, স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো প্রচলিত ইসলামিক আইনের নিরিখে পর্যালোচনা করা হবে।

আফগানিস্তানে নারীদের মিছিল

গত বছরের আগস্টে তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা হাতে নেয়। প্রথম পর্যায়ে সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর কয়েক মাস পর সেটি কেবল ছাত্রদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরে ধীরে ধীরে কোনো কোনো পর্যায়ে ছাত্রীদেরও ক্লাসে বসার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি প্রাথমিক লেভেল ছাড়া অন্য স্তরে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করে তালেবান প্রশাসন। একই সাথে তারা বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরত নারীদেরও কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়।

প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করে সে দেশের মেয়েরা। বিষয়টি নিয়ে তালেবানের ব্যাপক সমালোচনা করে আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির মতো দেশগুলো। কূটনৈতিকভাবেও চাপ বাড়ানো হয়েছিল তাদের ওপর। এক পর্যায়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকেও এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে নারীদের শিক্ষা ও চাকরির দ্বার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

কিন্তু সবকিছুকে পেছনে ফেলে তালেবান প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শরিয়ত বিরোধী কোনও কাজকে সে দেশে মেনে নেওয়া হবে না। যা সিদ্ধান্ত হবে তা হবে শরিয়তের আলোকেই। এখানে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই।