ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ সময় আরও অন্তত চার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এ নিয়ে জানুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হলো ১৭ ফিলিস্তিনি।

নিহত ফিলিস্তিনী আদম জাবারিন এবং জাওয়াদ ফরিদ বাওয়াকনেহ

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছে অভিযান চালানো সময় নিহত হন তারা। স্থানীয় সাংবাদিকরা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, নিহত ফিলিস্তিনিদের নাম আদম জাবারিন এবং জাওয়াদ ফরিদ বাওয়াকনেহ। ৫৭ বছর বয়সী জাওয়াদ ফরিদ স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক।

স্থানীয় সাংবাদিক এবং বাসিন্দা মুজাহেদ আল-সাদি প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান দিয়ে আল জাজিরাকে বলেছেন, শিক্ষক বাওয়াকনেহ এর বাড়ির সামনে রাস্তায় যখন জাবারিনকে গুলি করা হয় তখন তিনি তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলেন। পরে তাকেও হত্যা করা হয়।

'প্রতিরোধ যোদ্ধা জাবারিন তার বাড়ির নীচে আহত হলে বাওয়াকনেহ তাকে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান। সেই সময় সেনাদের স্নাইপারের গুলি সরাসরি তার বুক বিদ্ধ করে' বলে জানান আল-সাদি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষক বাওয়াকনেহের ছেলে একটি টিভি সাক্ষাৎকারে হত্যাকাণ্ডকে ‌'মৃত্যুদণ্ড' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে শোক জানিয়ে বলেছে, বাওয়াকনেহ জেনিনের একটি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

এর আগে বুধবার স্থানীয় সময় সকালে জেনিন শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরের আশেপাশে ৭০টিরও বেশি সশস্ত্র যান নিয়ে বড় আকারের অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে তা প্রত্যাহার করা হয়।

এ সময় বিশেষ বাহিনী হেঁটে ক্যাম্পে প্রবেশ কেরে। সেখানে ভবনের ছাদে স্নাইপার নিয়ে অবস্থান নেয় একাধিক সেনা। জেনিন ও ক্যাম্পের আশেপাশে রাস্তা অবরোধ করে তারা। অভিযান শুরুর পরপরই ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

আল-সাদি আরও বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী 'চারদিক থেকে ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছে' এবং অন্তত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অভিযানের সময়, গাজা-ভিত্তিক প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা খালেদ আবু জাইনেহকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করেছিল সেনাবাহিনী।