নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ক্রিস হিপকিনস

নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স। দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি থেকে একমাত্র মনোনীত প্রার্থী তিনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন তিনি। খবর বিবিসি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স

২০০৮ সালে ক্রিস হিপকিন্স প্রথম সংসদে নির্বাচিত হন। পরে ২০২০ সালের নভেম্বরে দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

বৃহস্পতিবার সবাইকে হতবাক করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন জেসিন্ডা আরডার্ন। এ সময় তিনি বলেন, 'কঠিন সময় যাচ্ছে বলে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি, তা নয়। এমন হলে আমি আগেই সরে যেতাম। আমি চলে যাচ্ছি, কারণ প্রধানমন্ত্রীত্বের মতো বিশেষ ভূমিকার সঙ্গে অনেক দায়-দায়িত্ব জড়িয়ে থাকে, যা পালন করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়।'

এদিকে নিউজিল্যান্ডে আগামী অক্টোবরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে হিপকিন্স নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কতদিন দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চিত।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হিপকিন্সকে মনোনয়ন পেতে আগামী রোববার লেবার পার্টির হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সমর্থন করতে হবে। এতে সমর্থন পেলে প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন গভর্নর জেনারেলের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এরপর রাজা তৃতীয় চালর্সের পক্ষে হিপকিন্সকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন।

তবে লেবার পার্টির এ নেতা যদি ২০২৩ সালের নির্বাচনের পরেও শীর্ষ পদে থাকতে চান তাহলে তাকে একটি 'চড়াই যুদ্ধের' মুখোমুখি হতে হবে।

সম্প্রতি দেশটির জনমত জরিপে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান সামাজিক বৈষম্যের কারণে আরডার্নের জনপ্রিয়তা তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে।