দুর্দান্ত শোয়েব মালিক, রংপুরের বড় জয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজকের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৫৫ রানের জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নাম্বারে উঠে এলো রংপুর। রংপুরের দেওয়া ১৮০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে থামে চট্টগ্রাম। অন্যদিকে টানা তিন ম্যাচ হেরে শুভাগত হোমের দলের অবস্থান এখন টেবিলের ছয় নম্বরে। অসাধারণ ব্যাটিং করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন শোয়েব মালিক।

শোয়েব মালিক ও আজমাতুল্লাহ ওমরজাই মিলে গড়েন শতরানের জুটি

মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর। শুরুটা ভালো হয়নি রাইডার্সদের। দলীয় দুই রানে শেখ মাহেদি এবং ২৬ রানে সাঝঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। ইমনের সংগ্রহ ছিল ১০ বলে ছয় রান।

পাকিস্তানি অভিজ্ঞ ব্যাটার শোয়েব মালিক ব্যাট হাতে নামার পরই বদলে যায় দৃশ্যপট। শুভাগতদের চাপ সামলে দলকে পথ দেখান তিনি। প্রথমে নাইমকে নিয়ে তারপর আজমাতুল্লাহ ওমারজাইকে নিয়ে গড়েন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ দুই জুটি।

২৯ বলে ৩৪ রানে ওপেনার নাঈম সাজঘরে ফিরলে জুটি গড়েন ওমরজাই ও মালিক। এ যুগলের ১০৫ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় নুরুল হাসান সোহানের দল। ওমরজাই ২৪ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। চারটি ছক্কার পাশাপাশি একটি বাউন্ডারি হাকান তিনি। অন্যদিকে মালিক অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৭৫ রান করে। তার ইনিংসে ছিল সমান পাঁচটি ছক্কা ও চারের মার। এর বাইরে নওয়াজ ৭ বলে ৯ রান, শামীম পাটোয়ারির ৩ বলে ৭ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে রাইডার্সদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান।

চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পান মেহেদি হাসান রানা। দুটি উইকেট নেন শুভাগত হোম। বিজয়কান্ত নেন এক উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দলীয় ১১ রানে সাজঘরের পথ ধরেন তিন টপঅর্ডার। উসমান খান, খাজা নাফায়ে ও তৌফিক খান ফেরেন যথাক্রমে ৬, ৪ ও ০ রানে।

এ দিন বোলিংয়ের মত ব্যাটিংয়েও ছন্দে ছিলেন শুভাগত। দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে হাল ধরেন তিনি। ডারউইস রাসুলিকে নিয়ে প্রথমে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। ৭৭ রানের মাথায় রাসুলি ২১ রান করে আউট হলেও টিকে ছিলেন শুভাগত।

এরপর জিয়াউর রহমান নেমে ঝেড়ো ১২ বলে ২৪ রান করলে জয়ের সম্ভাবনা দেখে চ্যালেঞ্জার্স। তবে দুজনই অসময়ে আউট হলে চট্টগ্রামের ইনিংস গুটিয়ে যায় দ্রুতই। আউট হবার আগে শুভাগত করেন ৩১ বলে ৫৪ রান, জিয়াউর ১২ বলে ২৪ রান, বিজয়কান্ত ৬ এবং মৃত্যুঞ্জয় অপরাজিত থাকেন ৭ রানে। ইনিংসের তিন ওভার আগেই চট্টগ্রাম অলআউট হয়ে যায় ১২৪ রানে।

রংপুরের পক্ষে তিন উইকেট নেন হারিস রউফ। রাকিবুল হাসান নেন দুই উইকেট। একটি করে উইকেট পান ওমরজাই, হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান।