জাতিসংঘ: ৭০ শতাংশ সিরিয়ানদের সহায়তা প্রয়োজন

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ৭০ শতাংশ মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। দেশটিতে সংঘাত শুরু হওয়ার প্রায় ১২ বছর পর, বুধবার জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা এই তথ্য দিয়েছেন। খবর দ্য নিউ আরব

শীতের মধ্যে সিরিয়ার জনগণ বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বক্তৃতায় কর্মকর্তারা বলেছেন, সিরিয়া বিচ্ছিন্ন এবং গভীরভাবে বিভক্ত রয়ে গেছে। কারণ দেশটি ক্রমাগত বড় অর্থনৈতিক অসুবিধা, বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি সংকটের মোকাবেলা করছে। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

সিরিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন জানিয়েছেন, সিরিয়ার জনগণের আগের চেয়ে আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন। একটি গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং দারিদ্র্য বেড়েছে যা প্রায় ১৫.৩ মিলিয়ন সিরীয় নাগরিকদের জীবনে প্রভাব ফেলছে।

তীব্র শীতের মধ্যে সিরিয়ার জনগণ একটি বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অপরদিকে যারা বাস্তুচ্যুত হয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছেন তাদের মধ্যে কলেরা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় অফিসের উপ-পরিচালক ঘাদা ইলাথির মুদাউই জানিয়েছেন, সিরিয়ার জন্য দাতা দেশগুলোর আরও সহায়তা প্রয়োজন। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২২ সালেই সবচেয়ে কম অর্থ সহায়তা পেয়েছে এই দেশটি।

এদিকে পেডারসেন বলেছেন, ২০২২ সালে যুদ্ধবিধস্ত দেশটিতে বিমান হামলা কম হয়েছে। আগের তুলনায় হতাহতের সংখ্যাও কমে গেছে। কিন্তু জনগণের দুর্দশা আগের মতই ভয়ংকর রয়ে গেছে।

সিরিয়ার সংঘাতের একটি ব্যাপক রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন পেডারসন। তিনি বলেছেন, প্রায় ১২ বছর ধরে চলা দীর্ঘ এই যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি গুরুত্বপূর্ণ। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে এই ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিক্ষোভকারীদের ওপর বাশার আল আসাদের সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের পর সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ৫ লাখ সিরীয় নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।