চীন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু হতে পারে ২০২৫ সালে!

২০২৫ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হতে পারে। কারণ হিসাবে তাইওয়ান ইস্যুকে ইঙ্গিত করেছেন মার্কিন বিমান বাহিনীর এক শীর্ষ জেনারেল। তবে এ বিষয়ে পেন্টাগন কিংবা হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি। খবর এনবিসি নিউজ।

তাইওয়ানের কাছে বড় ধরনের যুদ্ধবিমানের মহড়া চালাচ্ছে চীন

মার্কিন এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইক মিনিহান বলেছেন, তাইওয়ান দখল নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উৎসাহিত হতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই সামরিক শক্তিধর দেশের মধ্যে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।

এ বিষয়ে একটি লিখিত নির্দেশনা সমস্ত এয়ার উইং কমান্ডারের কাছে পাঠিয়েছেন মিনিহান। নির্দেশনায় তিনি লিখেছিলেন, 'আশা করি আমি ভুল প্রমাণিত হব। তবে আমার মন বলছে আমরা ২০২৫ সালে লড়াই করব।'

মিনিহান লিখেছেন, '২০২২ সালের অক্টোবরে কাউন্সিলে তৃতীয় মেয়াদ (কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি) শি চীনে তার ক্ষমতার নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ২০২৪ সালে তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এটি যুদ্ধের একটি কারণ হতে পারে।'

এদিকে ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন একটি 'বিক্ষিপ্ত আমেরিকা' তৈরি করবে যা চীনা প্রেসিডেন্টকে উপকৃত করবে বলে যোগ করেন মিনিহান।

নির্দেশনার শেষে শীর্ষ এ জেনারেল বলেছেন, 'শির দল ২০২৫ সালের এর জন্য সবকিছু সাজিয়ে রেখেছে।'

মার্কিন এ কর্মকর্তার নির্দেশনাটি এমন সময় এসেছে যখন, তাইওয়ান ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশের উপর দীর্ঘদিন ধরে সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে চীন।

মিনিহানের মন্তব্যগুলো একজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডারের থেকে আসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী। তার বক্তব্যে এটা স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, মার্কিন তাইওয়ানে চীনা আক্রমণের জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে গেল দুই বছর ধরে তাইওয়ানের কাছে বড় ধরনের যুদ্ধবিমানের মহড়া চালাচ্ছে চীন। গেল আগস্টে চীনা সামরিক বাহিনী বড় আকারের মহড়া পরিচালনা করে। তৎকালীন মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরের প্রতিক্রিয়ায় হিসাবে সেই সময় তাইওয়ানের ওপরর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে চীন।