ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্প

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ পশ্চিম আজারবাইজানে ৫.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত দুই জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন। ভূকম্পন অনেক শহরে অনুভূত হয়েছে। জরুরি কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় মিডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

ইরানের মানচিত্র

ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল খোয়া শহরের কাছে। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৪টায় মাত্র ৭ কিলোমিটার গভীরতায় ছিল কম্পনের কেন্দ্র। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, উচ্চ-তীব্রতার ভূমিকম্পটি প্রাদেশিক রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর উর্মিয়াসহ একাধিক শহরে অনুভূত হয়েছিল। একাধিক আফটারশকও ঘটেছে।

ইরানের জরুরি সংস্থার মুখপাত্র মোজতবা খালেদি রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে ভূমিকম্পের ফলে খোয়া শহরে ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। উর্মিয়া এবং তাবরিজের কাছাকাছি শহরগুলো থেকে অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, খোয়া শহরে বাড়িঘর ও ভবন ধসের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এই প্রদেশের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মীরাও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটে গেছে।

খোয়া শহরের গভর্নর জাবিহুল্লাহ কাজেমিকে উদ্ধৃত করে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও জনগণকে ত্রাণ সরবরাহ করতে ১৫টি দল ভূমিকম্প কবলিত এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের মতে, তুরস্ক, ইরাক, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইরানের একই প্রদেশে এই মাসের শুরুতে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল, আহত হয়েছিল ৪০০ জন। শত শত শহুরে ও গ্রামীণ আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ইরান একটি ভূমিকম্প সক্রিয় অঞ্চলে অবস্থিত এবং বিগত বছরগুলোতে দেশটি অনেক বিপর্যয়কর ভূমিকম্প দেখেছে। সবচেয়ে বিধ্বংসী ভূমিকম্পটি ছিল ২০১৩ সালে।

ভূমিকম্পটিতে দক্ষিণ-পূর্ব কেরমান প্রদেশের বাম শহরে কমপক্ষে ৩৪ হাজার লোক মারা গিয়েছিল।রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৭। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উচ্চ এবং মাঝারি-তীব্র ভূমিকম্পের একটি স্ট্রিং দক্ষিণ এবং উত্তর ইরানের প্রদেশগুলোতে আঘাত করেছে।