হাইতিতে কানাডার সামরিক বিমান মোতায়েন

হাইতিতে সশস্ত্র গ্যাং ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এই সশস্ত্র দলগুলোর কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দেশটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কানাডা সেখানে সামরিক বিমান মোতায়েন করেছে। কানাডা সরকার জানিয়েছে, ভয়াবহ নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও হাইতির গ্যাংদের কার্যকলাপ দমনে সামরিক বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। রয়টার্সের খবর।

হাইতির একটি পাহাড়ি এলাকা

কানাডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা হাইতিয়ান ন্যাশনাল পুলিশকে সমর্থন করতে নিরাপত্তা পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে। দেশটির অধিকাংশ এলাকায় সহিংসতা বাড়তে থাকায় রয়াল কানাডিয়ান এয়ার ফোর্স সিপি-১৪০ অরোরা দূরপাল্লার টহল বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।

২০২১ সালে হাইতির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস হত্যাকাণ্ডের পর থেকে হাইতির গ্যাংগুলো তাদের অঞ্চল প্রসারিত করেছে। তাদের সহিংসতা আগের চেয়ে বেড়েছে। পুলিশের সাথে তারা নিয়মিত বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে। আগামী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কানাডা সফরে যাবেন। তার এজেন্ডায় হাইতির সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কানাডিয়ান টহল বিমান শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখার প্রচেষ্টা জোরদার করবে। তারা গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি এবং দখলীয় অঞ্চল পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে সহায়তা দেবে। টহল বিমানটি বেশ কিছুদিন এই অঞ্চলে অবস্থান করবে বলে কানাডিয়ান সরকার জানিয়েছে।

সশস্ত্র গ্যাং থেকে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবেলায় গত অক্টোবরে হাইতিতে জাতিসংঘ একটি দ্রুত অ্যাকশন ফোর্স পাঠানোর পরামর্শ দেয়। মাঠের লড়াইয়ে শত শত হত্যাকাণ্ড এড়াতে এই ফোর্স কাজ করবে। তাছাড়া হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা জাতিসংঘের অতীতের মিশনগুলোর অপব্যবহারের বিষয়টি এখনও মনে রেখেছেন। তারা মনে করেন, হাইতির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির প্রশাসন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নয়। তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব ছাড়াই প্রশাসন পরিচালন করছে।