ছেলেকে তদন্তের আওতায় আনার নির্দেশ কিশিদার

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার ছেলে শোতারো কিশিদার সমালোচনা করেছেন। অফিসিয়াল কাজ এবং ব্যক্তিগত কাজ একাকার করে ফেলায় নিজ পুত্রের সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি। অফিসিয়াল ডিউটিতে থাকাকালীন দর্শনীয় স্থান এবং কেনাকাটা করার জন্য শোতারোকে তদন্তের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ছেলে শোতারো কিশিদা

গতবছরের অক্টোবর মাসে কিশিদা তার উত্তরাধিকারী হিসেবে বড় ছেলে শোতারোর নাম ঘোষণা করেন। শোতারোর বয়স ৩২। তিনি কিশিদার একজন নির্বাহী সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। জাপানে বংশানুক্রমিক রাজনীতি প্রচলিত হলেও এই নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছিল।

পরের জানুয়ারিতে শোতারো তার বাবার সাথে ফ্রান্স, ইতালি, ব্রিটেন, কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাপ্তাহিক শুকান শিনচো রিপোর্ট করে, শোতারো সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে পর্যটনের হটস্পটে দর্শনীয় স্থানে গিয়েছিলেন এবং কেনাকাটা করেছিলেন।

কিশিদা বলেন, তার ছেলে তার নির্দেশনা মেনে সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছে। পর্যটন আকর্ষণের ছবিগুলো তার অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিল। তবে তার ভ্রমণ ও কেনাকাটা আইনের লঙ্ঘন কিনা তা তদন্ত করা হবে।

শোতারো লন্ডনের হ্যারডস ডিপার্টমেন্ট স্টোর থেকে ইতালীয় ডিজাইনার ব্র্যান্ড জর্জিও আরমানির গলার বন্ধন কিনেছিলেন, যা মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের দেওয়া হয়েছিল। একটা সুভেনিরও তিনি কিনেছিলেন। ওই সময় কিশিদা জোর দিয়ে বলেছিলেন, ব্যক্তিগত টাকা থেকে জিনিসপত্রগুলো কেনা ছিল।

কিশিদা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য স্যুভেনির কেনা একজন নির্বাহী সচিবের স্বাভাবিক দায়িত্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সরকারের মুখপাত্র হিরোকাজু মাতসুনো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই কেনাকাটা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে এবং সাধারণ অভ্যাস।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক আমলা ডা. সোটা কাটো দ্য স্ট্রেইটস টাইমসকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং তার সচিবের মধ্যে রক্তের সম্পর্কের কারণে এটি কেবল একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যথায় কোনো সমস্যা বা সমালোচনা হতো না।