প্রসব বেদনা নিয়ে দু'দিন লুকিয়ে ছিলেন মিয়ানমারের মনোয়ারা

মনোয়ারা আগেই শুনেছিলেন যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং পাশের গ্রামের সব মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। তার গ্রামের মানুষেরাও পালাতে শুরু করেছিল কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তাঁর ছিল না। এরপর মনোয়ারাদের গ্রামে হামলা শুরু হয়। ঘর-বাড়ি আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে সেনা সদস্যরা তার স্বামী নুর মোহাম্মদকে ধরে নিয়ে যায়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুলসিম রোহিঙ্গাদের প্রতি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত নিপীড়ন থেকে পেটের সন্তানকে নিয়ে প্রাণে বাঁচতে পালাতে হয়েছে তাকে।

মনোয়ারা বলেন, ‘সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এসেছিল। কিন্তু পালিয়ে কোথায় যাবো তা ভেবে পাচ্ছিলাম না। এমন সময় প্রতিবেশীদের একটি দল আমাকে বাংলাদেশের টেকনাফে পালিয়ে আসতে সাহায্য করে।’

তিনি আর বলেন, ‘এটি খুব দীর্ঘ একটি পথ ছিল। নাফ নদীর তীরে হেঁটে যেতে আমার সাতদিন সময় লেগেছে। কিন্তু তারপর সবাই নদী পাড় হয়ে চলে গেলেও আমি তা পারিনি। কেননা, ততক্ষণে আমার প্রসব বেদনা শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং আমি চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলাম।’

তিনি জানান, এই প্রসব বেদনা নিয়েই টেকনাফ সীমান্তে প্যারাবনে দুটো দিন কাটাতে হয়েছে তাকে। কিছু মানুষ হয়তো তার আর্তনাদ শুনতে পেয়েছিল বলেই তাকে উদ্ধার করতে পেরেছে।

অবশেষে বাংলাদেশের মাটিতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মনোয়ারা। তিনি ভালো আছেন নাকি নেই, সে খবর তার জানা নেই। শুধু এতোটুকুই জানেন, তিনি নিজের সন্তানকে বাঁচাতে পেরেছেন।

আপনি আর পড়তে পারেন

'আম্মার' মৃত্যু শোকে ৭৭ জনের মৃত্যু

রোহিঙ্গা নির্যাতনের দুটি ভিডিও প্রকাশ

পাক-ভারত সীমান্ত: ২০১৬ সালে প্রাণ হারিয়েছে ৭১ ভারতীয় সেনা

ভারতে নোট বাতিলের ঘটনায় এবার ক্ষেপেছে রাশিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক 'গোপন' নথি চুরি করেছে উত্তর কোরিয়া