ভূমিকম্পে ভবন ধসের পর তুরস্কে ঠিকাদার আটক

ভূমিকম্পে তুরস্কে শত শত ভবন ধসে মাটির সাথে মিশে গেছে। এ পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। ভবন ধসে পড়ার পর দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টাকারী একজন ঠিকাদারকে শুক্রবার আটক করেছে তুর্কি পুলিশ। আটক ঠিকাদারের নাম মেহমেত ইয়াসার কোসকুন। টার্কিশ মিনিটের খবর।

তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা

গত সোমবার ভোরে ৭.৮ মাত্রার ভূকম্পনে তুরস্ক-সিরিয়ার বিশাল এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভূমিকম্পটি তুরস্ক জুড়ে নিম্নমানের আবাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে দেশজুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

হাতায় প্রদেশের আন্তাক্যা শহরে আবাসিক এলাকার বড় বড় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এসব ভবন তৈরিতে দুর্নীতি করা হয়েছে। তা না হলে ভবনগুলো কেন ফেটে গেছে। এতে এখন এরদোয়ান সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।

ঘানার আন্তর্জাতিক ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান আতসু ভূমিকম্পে আটকা পড়েছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে নির্মিত ১২ তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। এই ভবনের ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে আটকে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, হাতায় স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক তানের সাভুতও ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েছেন। ১৯৯৯ সালের উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে ভূমিকম্পে ১৭ হাজার লোক নিহত হয়েছেন। তখন থেকে তুরস্ক কঠোর বিল্ডিং নীতি প্রবর্তন করেছিল। কিন্তু এই ভূমিকম্পে ওই নীতির কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, কর্মকর্তারা ওই ঠিকাদারকে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে আটক করেছে। কারণ তিনি মন্টিনিগ্রোতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি প্রচুর অর্থ নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ তাকে আটক করার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে, অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নীচে রয়েছেন, এখনও উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভূমিকম্পের ১০১ ঘণ্টা পরও ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার কর হয়েছে। তবে শিশুদের উদ্ধার নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।