আবারও ফরাসি চ্যালেঞ্জের মুখে মেসি

গত বছর ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের প্রাথমিক তালিকাতেও ছিলেন না লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপের পর বদলে গেছে সবকিছু। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর সেরার লড়াইয়ে আসতে না পারা আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ফিফার বর্ষসেরার ট্রফি জয়ে হয়ে উঠেছেন ফেভারিট। ‘ফিফা দ্য বেস্ট ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার এই লড়াইয়ে তার দুই প্রতিপক্ষ দুই ফরাসি।

স্বপ্নের বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে লিওনেল মেসিকে নিয়ে আর্জেন্টিনার উল্লাস

কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমার সঙ্গে লড়াইয়ে অনুমিতভাবেই এগিয়ে আছেন মেসি। তাকে এগিয়ে রেখেছে গেল ডিসেম্বরের কাতার বিশ্বকাপ। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে দীর্ঘ তিন যুগ পর আর্জেন্টিনা জিতেছে স্বপ্নের সোনালি ট্রফি। মহানাটুকে ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা জেতেন মেসিরা। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল করে এমবাপ্পে পেয়েছেন গোল্ডেন বুট।

ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার পেছনে এমবাপ্পের ভূমিকা ছিল বিরাট। মেসি ও এমবাপ্পে দুজনই ফিফার সেরার লড়াইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করে। বেনজেমার ব্যাপারটা অবশ্য ভিন্ন। চোটের কারণে খেলতে পারেননি স্বপ্নের বিশ্বকাপ। ফাইনালের আগে ফিট হয়ে উঠলেও তাকে সুযোগ দেননি ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশাম।

ফিফা বর্ষসেরার লড়াইয়ে লিওনেল মেসির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী করিম বেনজেমা ও কিলিয়ান এমবাপ্পে

মূলত ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই সেরার লড়াইয়ে রাখছে বেনজেমাকে। গত বছর রিয়াল মাদ্রিদের উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার। রিয়ালের স্প্যানিশ লা লিগা জয়েরও অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। তার হাতেই উঠেছিল ব্যালন ডি’অরের মুকুট। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ না পাওয়ায় এবার ফিফার সেরার লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন তিনি।

ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে বেশ কিছুদিন আগে ১৪ জনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২১ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় সেরাদের বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা। পরে জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক এবং ফিফার ওয়েবসাইটে ভক্তদের ভোটে এগিয়ে থাকলেন মেসি, এমবাপ্পে ও বেনজেমা।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এদের একজনের হাতে উঠব ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি। একইদিন বর্ষসেরা গোলের পুরস্কারও দেওয়া হবে। অনুমিতভাবেই আছে ব্রাজিলের রিচার্লিসনের সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে করা বাইসাইকেল কিকের অসাধারণ গোলটা। পুসকাস অ্যাওয়ার্ডে রিচার্লিসনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পোল্যান্ডের মার্সিন ওলেস্কি ও ফ্রান্সের দিমিত্রি পায়েত। তাদের গোল অবশ্য ক্লাব ফুটবলে।

সেরা গোলরক্ষক হিসেবে এগিয়ে আছেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ল্যাটিন জায়ান্টদের বিশ্বকাপ জয়ে তার ভূমিকা ছিল অনেক। সেরা গোলরক্ষক হিসেবে তার সঙ্গে লড়াই চলছে রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান তারকা থিবাউট কোর্তোয়া ও মরক্কোর ইয়াসিন বুনুর। সেরা কোচ হিসেবে ত্রিমুখি লড়াইয়ে আছেন আর্জেন্টিনার লিওনেল স্কালোনি, রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলত্তি ও ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা।