আলো ঝলমলে রাতে পুরস্কার জিতলেন মাশরাফি-সাকিবরা

গতকাল সন্ধ্যায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অ্যাওয়ার্ড নাইট ২০২৩ এর আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বিএসজেএ। অনুষ্ঠানে গত ১০ বছরে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য খেলোয়াড়, কোচ, সংগঠক, রেফারি পৃষ্ঠপোষক ও সংগঠনের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৪৬টি পুরস্কার দিয়েছে সংস্থাটি।

পুরস্কার হাতে সাকিব ও মাশরাফি

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। যথারীতি এই অনুষ্ঠানে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমানরা।

ব্যাট হাতে ২০২২ সালটা স্বপ্নের মত পার করেছেন লিটন কুমার দাস। এ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন দিনাজপুরের এই ক্রিকেটার। অনুমিতভাবেই ২০২২ সালের স্পোর্টস পার্সন অব দ্য ইয়ারের পুরস্কার জিতেছেন লিটন। দ্বিতীয় রানার্সআপ নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। গত হওয়া বছরে ব্যাটে বলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন এই অলরাউন্ডার।

২০২১ সালে স্পোর্টস পার্সন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডে রানার্সআপ হয়েছেন সাকিব। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তামিম ইকবাল। এছাড়া বাংলাদেশ যুব দল এবং বিসিবিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের স্পোর্টস পার্সন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিক। এই ক্যাটাগরির ২০১৭ সালের পুরস্কারটি উঠেছে সাকিবের হাতে। বিপরীতে প্রথম রানার্সআপ হয়েছেন মুশফিক। অন্যদিকে ২০১৬ সালের রানার্সআপ নির্বাচিত হয়েছেন তামিম।

২০১৫ সালের স্পোর্টস পার্সন অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। প্রথম রানার্সআপ নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াদ। দ্বিতীয় রানার্সআপের পুরস্কার উঠেছে তামিমের হাতে। এই বছরের প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি।

২০১৪ সালের স্পোর্টস পার্সন অব দ্য ইয়ারের দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে মুশফিক। ২০১৩ সালে এই ক্যাটাগরিতে প্রথম রানার্সআপ নির্বাচিত হন জাতীয় দলে বাইরে থাকা বোলিং অলরাউন্ডার সোহাগ গাজী।